মো. জাহানুর ইসলাম :
বন্ধু মানে আর কিছু নয় প্রেম ভালোবাসা, হৃদয় ছোঁয়া সম্পর্ক জীবন মরণ বাঁচা। স্কুল ও কলেজের বন্ধুত্ব আসলে এমনই, যা চাইলেও ভুলে যাওয়া যায় না। স্কুল কলেজের বন্ধুদের মেলবন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ যে কতটা দৃঢ় স্বচক্ষে না দেখলে তা উপলব্ধি করা কঠিন। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঘাত প্রতিঘাতে কখনো কখনো হয়ত মচকে যায় ঠিকই তবে কখনোই একেবারে ভেঙ্গে যায় না। যদিও বা কখনো ভেঙ্গে যায় তা অল্প সময়ের মধ্যেই আবার জোড়া লেগে যায়।বন্ধুত্বের মোজেজা আসলে এখানেই। বন্ধুত্বের দৃঢ়তা ইস্পাতের চেয়ে বেশি কঠিন বলেই মনে হয়। সম্পর্ক এতো গভীর হলে একজন অপরের জনের ডাকে সাড়া দিবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর হয়েছেও তাই।
“দি ইনভিন্সিবল ৯/১১” এর অন্যতম সদস্য সাইফ উদ্দীন ও বৃষ্টি মণি হঠাৎ করেই পরিকল্পনা করে আজ বিকালে চায়ের কাপে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিলে কেমন হয়! যেই পরিকল্পনা সেই কাজ। দি ইনভিন্সিবল ৯/১১” এর ফেসবুক গ্রুপে বিষয়টি সবার সাথে শেয়ার করেন। বন্ধুরাও তড়িৎগতিতে সাড়া দেন। বিকাল ৪ টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আড্ডা শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে বন্ধুদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। একে একে হাজির হয় রিয়াজ, মো. আব্দুল মোতালেব, ঝুমা, আশিক রহমান, আসমাসহ আরো কয়েকজন। আড্ডা জমে উঠে। অনেক দিন পর বন্ধুরা একে অপরকে কাছে গল্পের ঝাপি খুলে বসে। কাপের চা শেষ হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু তাদের গল্প আর ফুরায় না। সময় ফুরিয়ে যায়। পশ্চিম আকাশে সূর্য ডুবে চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। তবুও তাদের আড্ডা শেষ হয় না। রাত সাড়ে সাতটার দিকে শুরু হয় আরেক দফা হালকা খাওয়া দাওয়া। ঘোরেই মধ্যেই কেটে যায় আরো কিছু সময়। মন না চাওয়াতেও রাত ৮ টার দিকে চায়ের আড্ডা ভেঙ্গে দিতে হয় এক রকম বাধ্য হয়েই। তবে সবাই সম্মতি দেয় তারা আরেক দফা মিলিত হবে কোন একদিন এমনি চায়ের আড্ডায়। শেষে সাইফ ও বৃষ্টি চা আড্ডায় উপস্থিত হওয়ার সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ ও ২০১১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত “দি ইনভিন্সিবল ৯/১১”।