মানবাধিকার প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
চন্দনাইশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৮ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে প্রবাসী ও পেয়ারা ব্যবসায়ী আপন দুই সহোদর ভাই যথাক্রমে আজাদুল ইসলাম আজাদ-(২৩) ও আমানুল ইসলাম ফারুখ (৩৭) কে হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততাঁর অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন- বি.এইচ.আর.এফ ।
উক্ত মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারপার্সন ও প্রধান নির্বাহী এডভোকেট এলিনা খান, পরিচালক অর্গানাইজিং এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধান ও আইনি সহায়তা টিমের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে এডভোকেট সুনীল সরকার, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, এএইচএম জসীম উদ্দিন, আবুল খায়ের, সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এস এ কাশেম, জান্নাতুল নাঈম রুমানা, দেওয়ান ফিরোজ, প্রদীপ আইচ দীপু, সাইফুদ্দিন খালেদ, হাসান আলী, বদরুল হাসান, মানবাধিকার কর্মী হাসান আল বান্না, কাসিফ মাহমুদ শান্তনু চৌধুরী, রিদওয়ানুল করিম নাবিল, জিয়াউদ্দিন আরমান প্রমুখ প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা উক্ত দাবী জানান ।
নিহত ভাতৃদ্বয়ের আপন বোন একটি বেসরকারী হাসপাতাল কর্মরত এইড নার্স রিনাত সুলতানা (শাহীন) বাদী হয়ে মানবাধিকার সংগঠন বিএইচআরএফ এর আইনী সহায়তায় গত ০২/০৯/২০২০ ইং তারিখে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির আদালতে দন্ডবিধির ৪৪৯/৩৪১/৩৬৪/৩৬৫/৩৮৫/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় (সদলবলে গৃহে প্রবেশ পূর্বক ভিকটিমকে অপহরণ করতঃ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মুক্তিপন দাবী পূর্বক গুলি করে নৃশংসভাবে পারস্পরিক সহযোগিতায় হত্যার অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে) মামলাটি দায়ের করেন । মামলায় টেকনাফ থানার তদানিন্তন ওসি প্রদীপ সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও চন্দনাইশ থানার তদানিন্তন ও সি সহ আরো ৫/৬ জন সহ স্থানীয় চন্দনাইশ থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সোর্সের পদবী উল্লেখ করা হয় ।
ইতিমধ্যে বাদী ও সাক্ষীরা তাদের নাম ও অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রামান্য দলিলপত্র, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি তদন্ত কর্মকর্তা এ এস পি আনোয়ারা সার্কেল মোঃ মফিজ উদ্দিন এবং মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধান টিমের কাছে জমা দেয় ।
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দুই ভাইকে চন্দনাইশ থানাধীন নিজ ঘর ও রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে যারা টেকনাফ পুলিশের হাতে চাঁদার দাবীতে হত্যার জন্য তুলে দিয়ে প্রত্যাক্ষভাবে সহযোগিতা করল তাদের মধ্য থেকে তদানীন্তন ওসি কেশব চক্রবর্তী ছাড়া অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উক্ত থানায় বহাল তবিয়তে রয়েছে । ওদের মধ্যে ও সি তদন্ত মজনু মিয়া, এস আই আরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল মাজহারুল, থানার দালাল ও সোর্স রানা, ফোরকান প্রমুখ এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে । ফলে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ব্যাহত ও আলামত নষ্ট হওয়ার আশংকা বিদ্যামান আছে ।
বিবৃতি দাতারা আরো বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় থানায় অবস্থানের কারণে তাদের প্রভাবে মামলার সাক্ষী ও সংবাদদাতারা অত্যন্ত শংকিত ও ভয়ভীতির মধ্যে আছেন ও নির্ভয়ে সাক্ষীরা সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনে শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ।
পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যে কক্সবাজার, মহানগর ও জেলার বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেও চন্দনাইশ থানার বিতর্কিত পুলিশ সদস্যারা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে । বিচারে স্বচ্ছতা রক্ষার্থে ন্যায় ও সুবিচারের স্বার্থে অবিলম্বে তাদের প্রত্যাহারের জন্য মানবাধিকার কর্মীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপি মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ।
উল্লেখ্য আগামী ৭ই অক্টোবর জোড়া খুনের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য্য আছে।