আরিফ ইকবাল নূর :
কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ব্লাড ফাইটিং ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। মোহাম্মদ নেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন। অবশেষে একঝাঁক তরুণ নিয়ে ব্লাড ফাইটিং ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। তিনি বলেন, কারো ব্লাডের প্রয়োজন হলে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব ব্লাড ব্যবস্থা করে দিতে।
নুরুল হাকিম হিরু বলেন, আমি নিজে ১৯ বার ব্লাড দিয়েছি। আমি যেহেতু চট্টগ্রামে থাকি, চট্টগ্রামে যদি কারো ব্লাডের প্রয়োজন হয় আমাকে জানালে আমি ইনশাআল্লাহ ব্যবস্থা করে দিব।
কক্সবাজার কলেজের ছাত্র তাহসিন মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, আমরা যারা এই সংগঠন এর সাথে জড়িত হয়েছি আমাদের সকলের চিন্তা হবে কিভাবে আমাদের নিজেদের ইউনিয়ন ভিত্তিক এই সংগঠনটাকে সাম্মানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং কিভাবে আমরা দ্রুত সবার কাছে পরিচিত লাভ করাতে পারি সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আরো চিন্তা করতে হবে কিভাবে এই সংগঠনটিকে একটা প্লাটফর্ম এ নিয়ে যেতে পারি। আমরা কাজ করব সকলের মঙ্গলের জন্য, সবার উপকারের জন্য, পরকালের নাজাতের জন্য।
তিনি আরো বলেন, অতীতে অনেক সংগঠন হয়েছে আবার ভেঙ্গে গেছে। তাই গড়ার আগে চিন্তা করতে হবে কিভাবে আমরা সচেতনতার সাথে সামনে আগাতে পারি। সর্বপ্রথম আমরা নিজেদের মধ্যে একটি সর্বোচ্চ ঐক্য থাকতে হবে। এটাকে একটা অবস্থানে নিয়ে যেতেই হবে। কক্সবাজারে আমরা লক্ষ্য করি অনেক দূর থেকে এসে অনেকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সংগঠন দাড় করাচ্ছে, এবং সফলতা ও পাচ্ছে তো আমরা কেন পারবনা? আমরা আজকে আলহামদুলিল্লাহ সফলভাবে সক্রিয় হতে যাচ্ছি সকলের মৌনচিন্তা যেন এক হয় সকলের উদ্দেশ্য যেন এক হয় মানবতার কাজ যেন মহান আল্লাহ কবুল করেন সেভাবে মানবতার কাজ আমরা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমি নিজের স্ব-জ্ঞানে বলছি হাজারো প্রতিকূল মুহূর্তেও আমি এই সংগঠন এর সাথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
কক্সবাজার কলেজের ছাত্র মুহিব উল্লাহ বলেন, আমরা মানবতার জন্য কাজ করব। কক্সবাজারে কারো ব্লাডের প্রয়োজন হলে, ইনশাআল্লাহ আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব ব্লাড ব্যবস্থা করতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ ইকবাল নূর বলেন, অনেকের ব্লাড দেওয়ার সক্ষমতা থাকার পরও ব্লাড দিতে চায় না। কারণ তারা জানে না যে, ব্লাড দিলে কি উপকার হয়। তাই আমাদের উচিত হবে, সবাইকে সচেতন করা যেন তারা ব্লাড দিতে আগ্রহী হয়। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে, রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কেননা একজন সুস্থ মানুষের শরীরে পাঁচ-ছয় লিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। রক্তের মূল উপাদান পানি, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ হয়।রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রক্তদানের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ‘বোনম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রক্তদান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কারণ রক্তদান করলে শরীরে প্রদাহের আশঙ্কা কমে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ে।
আপনার রক্তের কারণে একজন মানুষের জীবন বেঁচে যেতে পারে।