ব্লাড ফ্রেন্ড সোসাইটি বাংলাদেশ এর ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নগরীর সি আর বি তাসফিয়া গার্ডেন হল রুমে পালন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি জনাব ম শওকত উল ইসলামের সভাপতিত্বে কার্যক্রম শুরু হলে শারিরীক অসুস্থতায় তিনি সহ সভাপতি জনাব মোঃ নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব ভার দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেক কেটে ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্ভোদন করা হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কার্যকরী সদস্য জনাব মোহাম্মদ গফুর আলম, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ কামাল, মঞ্জুরুল কাদের, শহিদ সরোয়ার ম্যাক্সিম প্রমুখ।
সংগঠন পরিচালনায় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক জনাব শুক্কুর চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন আজীবন সদস্য জনাব জাহাঙ্গীর মিঞা, প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব জাকির হোসেন ভূঁইয়া। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তদাতা সংগঠন কনিকা ব্লাড ব্যাংক এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, জনাব মোঃ আফিফ ইকবাল, অতঃপর সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন, সভাপতি জনাব ম শওকত উল ইসলাম।
এ সময় তিনি আগামি ১৪ই জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস, ইয়্যুথ ফোরাম সংবিধানে অন্তর্ভুক্তি, ঈদ পূর্ণমিলনী ও বিশেষ অবদানে সন্মাননা প্রদানের বিভিন্ন কার্যক্রমের দিক তুলে ধরেন। সর্বশেষ সভার সভাপতি জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা রক্তদানের উপকারীতার বিভিন্ন তাৎপর্য বর্ণনা করে বলেন, রক্ত উৎপাদনের কোন কারখানা নেই। রক্ত মানব দেহেই সৃষ্টি হয়। জরুরি রক্তের প্রয়োজনে আমাদের রক্তদাতা থেকেই রক্ত সংগ্রহ করে মুমূর্ষু মানুষকে বাঁচাতে হবে। শুধু রক্তদান করলেই হবেনা নিরাপদ রক্তদানে আমাদের রক্তে কোনো অসুবিধা আছে কিনা তা জেনে রক্তদান করতে হবে যাতে রোগীর পরবর্তীতে এলার্জি জন্ডিস এসব সমস্যা না হয়। রক্তদানের জন্য আমরা যেন প্রথমেই আমাদের পরিবারে রক্তদাতা আছে কিনা তা খোঁজ করতে হবে। তবেই নিরাপদ রক্তদানে সবাই এগিয়ে আসবে।
অন্যদিকে ব্লাড ফ্রেন্ড সোসাইটি বাংলাদেশ নামে অনলাইন ফেইসবুকে যে পেইজ গ্রুপ আছে তাতে আমাদের বর্তমান সদস্য যারা যুক্ত নেই তাদের যুক্ত হয়ে কার্যক্রম কে আরও বেগবান করার আহবান জানানো হয়।