ইয়াছিন আরাফাত, কক্সবাজার :
“এই দিন সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন,
আর মানি না, মানি না কোনও সংশয়,
জয় বাংলা বাংলার জয়”
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে দেশবাসী পেয়েছে আনন্দবার্তা। করোনাসংকট জয়ী জননেত্রী জানিয়েছেন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অমিত সম্ভাবনার কথা। আসলে ২৬ ফেব্রুয়ারি (২০২১) বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতিসংঘ কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। ওই দিন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর ফলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষিত হবে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের তিনটি শর্ত ছিল- মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলারে রাখা, মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা নিচে আনা। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ তিনটি শর্তই পূরণ করে এসেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার। মানবউন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৭৫.৩ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে ২৫.২।
এদিকে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা শাখা।
আজ মঙ্গলবার (০২/০৩/২১ ইং) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে আনন্দ মিছিলটি কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিটের সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশক্রমে সারাদেশের মতো আমরা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ আনন্দ রেলী কর্মসূচি পালন করেছি।
আনন্দ র্যালী পরবর্তী সমাবেশে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের অলিতে গলিতে, গ্রামে-শহরে উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। তার ধারাবাহিকতায় বিশ্বের দরবারে এক অনন্য বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। শেখ হাসিনার এই উন্নয়নে দেশের ১৬ কোটি মানুষ উচ্ছ্বাসিত-আনন্দিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দ রেলী করা হয়।
লক্ষ্য অর্জনের এই সময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের জন্য এই উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।”