আরিফুল ইসলাম।স্টাফ রিপোর্টারঃ
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নে চলছে চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা।প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছে হাজার-হাজার লিটার বাংলা চোলাই মদ। চোলাই মদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হলেও তাতে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, আজিজনগর হেডম্যান পাড়ায় যৌথবাহিনী কিছুদিন পর-পর অভিযান পরিচালনা করলেও কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না বাংলা চোলাই মদ তৈরী ও পাচার। এছাড়া দিনের বেলায় যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চোলাই মদ তৈরীর সরঞ্জাম ও তৈরী চোলাই মদ ধ্বংস করে দেওয়ার পরও রাতে ঠিক চোলাই মদ পাচার হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, চোলাই মদ উপজাতীরা তৈরী করে সত্য কিন্তু পাচারে জড়িত অত্র এলাকার প্রভাবশালী কিছু নেতা।
আজিজ নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা অগ্রণী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন চট্টবাণী’কে বলেন, আজিজ নগর ইউনিয়ন থেকে চোলাই মদ তৈরী ও পাচারের কারণে আমাদের এবং এলাকার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমি ছুটিতে বাড়ি বাড়িতে আসলে, ছুটি শেষে পুনরায় কর্মস্থল কক্সবাজার যাওয়ার জন্য রওনা গাড়ির জন্য আজিজ নগর স্টেশনে অপেক্ষা করি,কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন গাড়িই আমাকে নিতে চায় না। আমাকে নিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে তারা জবাব দেয়, আপনাকে নয় এই স্টেশন থেকে আমরা কোন যাত্রী নেব না । কারণ, আজিজ নগর স্টেশন থেকে যেসব যাত্রী গাড়িতে উঠে তারা কেউ মদ্য পান করা, আর কেউ সাথে চোলাই মদের বস্তা নেয়া। মাঝপথে অযথা পুলিশের চেকপোষ্টে হয়রানির স্বীকার কে হবে? প্রশ্ন ছুড়ে দেন বাস হেলপার?
আজিজনগর চাম্বি মফিজ বাজারে রাতে ডিউটিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দাড়োয়ান জানান, আমাদের রাখা হয়েছে দোকানের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। প্রায়ই আমরা দেখি সকাল বেলা ৬ঃ৩০ দিকে অটোরিকশা যোগে এবং মোটরসাইকেল যোগে চোলাই মদ নিয়ে যাওয়া হয়। তখন আমাদের ডিউটি শেষ। বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেছেন তোমাদের কাজ বাজারের দোকানের ডিউটি করা।কে মদ নিয়ে যাচ্ছে সেটা তোমাদের দেখার দরকার নাই।
আজিজ নগর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো: আতিক বলেন, রাতের বেলা আমাদের পেট্রোল বাহিনী পুরো এলাকায় টহলে থাকে এবং আমি নিজেও থাকি। মাদক পাচারে ব্যাপারে কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে আপনারা আমাদের জানান। আমরা তথ্যদাতার নাম পরিচয় গোপন রেখে অভিযান পরিচালনা করবো।
এবিষয়ে লামা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওসি মোঃ আলমগীর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চট্টবাণী’কে জানান, আজিজ নগর ইউনিয়ন থেকে গভীর রাতে এবং ভোর সকালে চোলাই মদ পাচার হওয়ার বিষয়ে আমরা জানি না। তবে আমরা চোলাই মদ (মাদক) পাচারকারীদের ধরার চেষ্টায় আছি।মাদকের সাথে যেই জড়িত থাক না কেন,কেউ ছাড় পাবেনা।