এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
উলিপুরে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কারিগররা। ঋতু বৈচিত্রে শীতের শুরুতেই দিনে হাল্কা গরম থাকলেও রাতে ও ভোরের দিকে কুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ঠান্ডা নিবারণে এ অঞ্চলের মানুষের প্রস্তুতি চলছেও পুরোদমে।
উলিপুর উপজেলাটি নদীবেষ্ঠিত হওয়ায় শীতকালে এ অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে শীতের প্রকোপ বেশী থাকে। প্রতি বছরের অভিজ্ঞতা থেকে ঠান্ডা নিবারণের জন্য লেপ-তোষক বানিয়ে মানুষের আগাম প্রস্তুতিও চলছে। আর এ সুযোগে পশরা সাজিয়ে বসেছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানীরাও।
সরেজমিনে গিয়ে উলিপুর শহরের লেপ-তোষক তৈরির দোকান গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এসময় উপজেলার কাগজীপাড়া গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, ঠান্ডা বাড়ছে তাই পুরাতন লেপের তুলা বদলীয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। পরে ঝমেলা হয় তাই আগাম লেপ-তোষক বানাচ্ছি। তোষক কারিগর আফজাল হোসেন বলেন, প্রতিটি লেপ-তোষক বানাতে মজুরী হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হয়। বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তোষক তৈরিতে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। তাছাড়া কার্পাশ তুলা দাম বেশি হওয়ায় অনেকে গার্মেন্টসের তুলা দিয়ে লেপ তৈরি করে থাকেন। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম থাকায় চাহিদাও বেশি থাকে।
এসময় অনেক কারিগর ও ব্যবসায়ীরা শীত আসার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদ রাখেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৮টি লেপ-তোষক তৈরির অগ্রিম অর্ডার পান। শীত আসলেই কারিগরদের কাজের চাপও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর তারাও বাড়তি আয়ের জন্য দিনরাত কাজ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০