আরিফ পাটোয়ারী,ঢাবি :
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজা। বাবা আবদুল মান্নান শারিরীক প্রতিবন্ধী ও মা খালেদা বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। নিঃস্ব মাহফুজার বাবার কোনো সম্পত্তি না থাকায় জরাজীর্ণে ছোট্ট ঝুপিতে বসবাস করেন মাহফুজার পরিবার।
অদম্য মেধাবী মাহফুজার জীবন কাহিনী আর ১০টি শিক্ষার্থীর মতো নয়। সোনার চামচ মুখে দিয়েও তিনি জন্মগ্রহণ করেননি। পিতার অসামর্থ্যটাকে মাহফুজা কোনো দিন অনুভব করেননি।
তার একটাই লক্ষ্য ছিল দারিদ্রতাকে জয় করে দিনমজুর পিতার মুখে হাসি ফোটানো।
ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় জিপিএ – ৫ অর্জন করে মাহফুজা।
এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে যুদ্ধ শুরু করেন মেডিকেলে ভর্তির জন্য। ধরা দেয় সাফল্য। মেধা তালিকায় তার স্থান হয় ৩৮১৬। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় মাহফুজা। ভর্তির যাবতীয় খরচ আনন্দের সাথে বহন করে গ্রামবাসী। এখন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মাহফুজা।
মাহফুজা খাতুন জানান, এই সাফল্যের জন্য তিনি প্রথমেই তার পিতা মাতা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
মেধাবী মাহফুজা বলেন, আমি দরিদ্র ঘরের সন্তান। দারিদ্রতা কী সেটা আমি বুঝি। কাজেই চিকিৎসক হয়ে আমি সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেব। সমাজের কিছু মানুষের সাহায্য ও প্রেরণায় আমি এতদূর এসেছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।