আব্দুল গফুর, কক্সবাজার :
একজন সফল মানুষকে শুরুতেই নানা বাধা পেরোতে হয়। কখনো আর্থিক সঙ্কট, কখনো সামাজিক সমস্যা। মাঝে মধ্যে আত্বীয় স্বজন ও বন্ধু বা পরিচিত মহল থেকে নানা বিদ্রুপের শিকার হতে হয়। এমন নানা বাধাও বিদ্রুপের শিকার ৯০ দশকের টকবগে যুবক জাফর আলম।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা জাফর আলমের জম্ম কক্সবাজার সদর খুরুশখুল তেঁতৈয়া এলাকায় তার বয়স এখন ৭০ ছুঁই ছুঁই। অভাবের তাড়নায় জীবনের তাগিদে কতইনা কি করেছে মোঃ জাফর। মাছের ব্যবসা পানের দোকানসহ আরও কত না কিছু।
আজকাল এমন সহজসরল মানুষ খুবই বিরল। বলতে গেলে কখনো পাইনি কোন সহযোগিতা কারো কাছ থেকে।
পর্যটন নগরীর আবাসিক এলাকায় কৌতূহলবসত মামার সঙ্গে কথা বলি,একদিকে আমার দু:সম্পর্কের আত্বীয়। অন্যদিকে বাবার বয়সের চেয়ে অনেক বড় হবে মোঃ জাফর আলম,তাই মামা বলেই ডাকি আমরা।
তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান,জন্ম হয় অভাবের সংসারে। আন্য লোকের হাতে ভাতের টিফিন বক্স দেখলে মন চাইতো সেই খাবার খাইতে। মনে মনে ভবতেন অনেক সুস্বাদু হবে হয়তো এ খাবর,কারণ ভালো-মন্দ খাবার খাবার কখনো জুটেনি আমাদের কপালে তাই।
অভাবের সাথে আপোষ না মানা জাফর আলম মাত্র ১২হাজার টাকার মুলধন নিয়ে কলাতলী এসে ব্যবসায় শুরু করেন । অভাব অনটনকে দুরে ঠেলে আজ সফল এক ব্যবসায়ী তিনি,তরুণদের জন্য অন্যতম একজন উদ্যোক্তা ।
বর্তমানে তিনি কক্সবাজার শহরের নামকরা মেজবান রেস্তোরাসহ তিনটি খাবার হোটেল ও কোটি টাকার প্লাটসহ করেছেন সামাজিক উন্নয়নের বহু কাজ। নিজ অর্থায়নে তেঁতৈয়া এলাকায় নির্মাণ করছেন মসজিদ,এলকার মানুষের সুবিধার্থে জানাজা নামাজের জন্য বিশাল একর জমি ক্রয় করে এলাকার মানুষের জন্য করেছেন বিশাল জানাযার মাঠ।
উনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কেমন বেচা বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,তিন মাস লকডাউনে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে তবে এখন স্বাভাবিক এ অবস্থা থাকলে মসজিদের নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে পারবো । বর্তমানে তার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে প্রায় অর্ধ শত কর্মচারী।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা এ বিদ্রোহী জাফর আলম মতো,দেশের সব বেকার যুবকদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত।