মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসার আগেই দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের এই উপজেলায় ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। ভোরবেলার কুয়াশা জমে থাকছে ঘাসে আর লতা-পাতায়। রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। পুরোপুরি শীতের শুরু না হলেও অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও অগ্রাহায়ণ, পৌষ ও মাঘ এই তিন মাস শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হয়।
আর শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হিড়িক পড়েছে লেপ-তোষক বানানোর দোকানে। ইতোমধ্যে কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক বানানোর কাজে। ক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ছোট বড় হাট বাজার গুলোতে লেপ তোষক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন দোকান মালিক শ্রমিক, ধুনাইকার এখন তুলা ধুনায় ও লেপ-তোষক তৈরি ও সেলাই এর কাজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগুনা।
উপজেলার বাংলাহিলি বাজারের তুলাপট্টির লেপ-তোষকের ব্যাবসায়ী আ.খালেক ইসলাম জানান, ক্রেতারা শীতের কথা মনে রেখে আগাম লেপ-তোষক বানাতে অর্ডার দিচ্ছেন।
তিনি আরোও জানান, একটি লেপ তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে প্রাায় ২ ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে ৫/৬টি লেপ তৈরি করতে পারেন। তোষক তৈরিতেও একই সময় ব্যয় হয়। বর্তমান বাজারে লেপ ও তোষক তৈরি খরচ তুলার ও আকার ভেদে প্রায় ১ হাজার টাকা থেকে ১৫শ’ হিসেবে নেয়া হচ্ছে।
উপজেলার চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম সাদেক জানান, শীত মৌসুমের পুরো তিন মাস কারিগররা যে হারে লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে বছরের অন্য সময় তা হয় না। বছরের প্রায় ৮মাস তাদের অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয়। কেউ কেউ ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়। ক’দিন ধরে আগাম শীতের আগমন বার্তায় প্রতিদিনই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার বেড়ে গিয়েছে।
তাই অর্ডারি লেপ-তোষক তৈরিতে এখন কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।একেকজন কারিগর দিনে প্রায় ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা উপার্জন করে করছে।তিনি আরো জানান, তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে খরচ গত বছরের চেয়ে একটু বেড়েছে।তাছাড়া বর্তমানে কেনা-বেচা ভালই হচ্ছে। শীতের তীব্রতা যতো বাড়বে বেচাকেনা আরো জমবে বলে আশা করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০