নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি কখনোই পরগাছা হয়ে রাজনীতি করবে না। আমাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে। নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে চায় না, জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগকে চায় না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গেও আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। জাতীয় পার্টি কোনো জোটেই নেই।
শনিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সাংগঠনিক সভায় এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশকে জুলুমখানায় পরিণত করেছে। আমরা দেশের মানুষকে সকল জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্তি দেবো। আমরা বিরোধী দলে আছি, সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলবো।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর চায় না। কারণ, তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ দিশেহারা, তারা এ দুটি দলের হাত থেকে মুক্তি চায়।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ১৯৯১ সালের পর থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দুটি দলই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। অধিকার হরণ করে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কবর দিয়েছে। সব স্তরে দলীয়করণের মাধ্যমে লুটপাটের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়েছে দুই দলের নেতাকর্মীরা। তারা হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপন করেন। ছোটখাটো নির্বাচনে তারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নামেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানিরা বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। এখন বৈষম্য সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশের মানুষ ভোট দিতে পারলে কখনোই ভুল করে না।
তিনি বলেন, দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রতিটি নির্বাচনে যাবে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া কোনো নির্বাচনেই কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ নোমান মিয়া, আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু প্রমুখ।