মিজানুর রহমান রুমান:
বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু তৃণমূল কর্মীলীগ নামক বঙ্গবন্ধুর নামীয় একটি সংগঠন সুনামগঞ্জে থাকলেও নেই এর কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম। নামে মাত্র সংগঠনটি থাকলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে এর কোন কার্যক্রম দেখা যায় না। ব্যাক্তিসার্থে সংগঠনের নাম ব্যাবহার করলেও প্রয়োজন শেষে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এ সংগঠনটির কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তাই এ সগঠনটির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার কার্যক্রম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের ধারনা বঙ্গবন্ধুর নামে সংগঠন অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার কোন প্রতিবাদ জানানো হয়নি । দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে রাজপথ উত্তাল করে রেখেছিল সেখানে বঙ্গবন্ধুর নামীয় সংগঠনের ভূমিকা ছিল নীরব। শুধু তাই নয় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ছিলো না এ সংঘটনের কোন কার্যক্রম। এছাড়াও ১০ ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করলেও বঙ্গবন্ধুর নামীয় সংগঠনের ছিলোনা কোন আয়োজন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস মহামারিতে হতদরিদ্র, অসহায় ও পথশিশুদের পাশে দাড়াতে দেখা যায় নি এ সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলামকে। তাই সাধারন মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য জেলা সভাপতি কামরুল ইসলাম এ সংগঠনটির পদ ব্যবহার করছেন সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের বিবেকে। বঙ্গবন্ধুর নামীয় সংগঠন অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছিলোনা এর কোন কার্যক্রম তাহলে এই সংগঠনটির উদ্দেশ্য কি সেই প্রশ্নই কড়া নাড়ছে সাধারন মানুষের মনে। তাহলে কি জেলা সভাপতি নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেই এ পদটি ব্যবহার করছেন?
আব্দুর রহমান নামের এক আ’লীগ কর্মী জানান, বঙ্গবন্ধুর নামীয় সংগঠন অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে কোন কর্মসূচি নেই, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো না এটা মেনে নেয়া যায় না। এ সংগঠনের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক নাকি জামাত-শিবির থেকে আসা হাইব্রীড কর্মী এর খোঁজ নেয়া দরকার। এ ব্যপারে বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু তৃণমূল কর্মলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কামরুল ইসলাম কে মোবাইল ফোনে বঙ্গবন্ধুর নামীয় সংগঠন অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গা ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে কোন কার্যক্রম ছিলো না কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিতে পেরে মোবাইল ফোনের লাইনটি কেটে দেন।