নিউজ ডেক্সঃ
চট্টগ্রাম ৮নং আসনে কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ইত্যাদি সমীকরণ নিয়ে বিশ্লেষন শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
বিরোধী দলও এ আসনকে কেন্দ্র করে তাদের ও অনেক চিন্তা ধারা রয়েছে বলে মনে করেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে নির্বাচিত হবার পর ১১ মাসের মাথায় সাংসদ মাইনুদ্দিন খান বাদল পরলোক গমন করায় উক্ত আসনে উপ নির্বাচনী আমেজ মনোনয়নের দৌড়ে আছেন অনেকে, শেষ পর্যন্ত আওয়ালী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে কাকে মনোনয়ন দিচ্ছেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এ আসনের উপ নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে উচ্চারিত হচ্ছে প্রয়াত সাংসদের সহধর্মিনী সেলিনা খানের নাম। আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহলে তাঁর ভালোই যোগাযোগ বিশ্লেষকদের ধারনা শেষ পর্যন্ত স্বামীর আসনে উপ নির্বাচনে তিনিই মনোনয়ন পেতে পারেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও মঈনুদ্দিন খান বাদলের অসুস্থতার কারণে এ আসনে সেলিনা খানের নাম আলোচনায় ছিল।
পাশাপাশি যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরে দলের কান্ডারি হিসেবে তাঁর মনোনয়ের বিষয়টিও প্রাধান্য পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের নাম একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আলোচিত হয়েছে। এ আসনের উপ নির্বাচনে তাঁর নামটিও আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিমের নামও এ আসনের প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচিত।
আলোচনায় আরো এগিয়ে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব সুকুমার চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে রাজনীতির অগ্নিঝরা সেই উত্তাল দিনগুলোতে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দার হায়াত খানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠিত করেন ও পলোগ্রাউন্ড মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জনসভায় যোগ দেন।১৯৯১ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে তিনি তার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মোহরা, চান্দগাঁও এবং চকরিয়া বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।তিনি চট্টগ্রাম আবাহনী পরিচালক ও দীর্ঘদিন ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সহ অনেক প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। জন্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি দায়িত্বপালন রত অবস্থায় তার নেতৃত্বে প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমীকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেন।বর্তমানে তিনি মোহরা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।