কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে শামসুল হুদা লিটনঃ
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্রীপার্টি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে শহরের ভূঁইয়া মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে, ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণতন্ত্রী পার্টি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা এম এ গনির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমের পরিচালনায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রীপার্টির প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ্ শিকদার। এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রবীন নেতা রেজাউল করিম খান, হাজী মাইনুদ্দিন, শেখ আঃ গনি, হাবিবুর রহমান সিকদার,আসাদুজ্জান সুজন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ্ শিকদার বলেন, শোষন মুক্ত সমাজ ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গিকার। তিনি আলোচনার শুরুতেই ৩ রা নভেম্বরে জেলে নিহত জাতীয় ৪ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে কিন্তু এখনো গরীব এবং ধনীর মাঝে ব্যবধান কমেনি। ধনীরা কেবলি ধনী হচ্ছে আর গরিবদের সংখা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গিকার ছিল শোষন মুক্ত সমাজ । যেটি দীর্ঘকাল থেকে বঞ্চিত বাংলার কৃষক , শ্রমিক, দরিদ্র মানুষের মূল দাবি ছিল। সেই লক্ষ্যঅর্জনের জন্য আমাদের পূর্বসুরি সর্বস্বত্যাগী সূর্যসেন , প্রীতিলতা,ইলামিত্র থেকে শুরু করে অনেকেই বৃটিশ বাংলায় অনেক সংগ্রাম করেছেন। তারপর পাকিস্তানের সময়ও অন্যতম অঙ্গিকার ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পাশাপাশি শোষনমুক্ত সমাজের, যে শোষনমুক্ত সাম্যবাদী সমাজ তৈরি করার জন্যে আমাদের পূর্বপুরুষরা অনেক সংগ্রাম ও আত্বত্যাগ করেছেন। মনিসিং, অনিল মুখার্জী, জিতেন ঘোষ, পীর হাবিবুর রহমান, চৌধুরী হারুনুর রশিদ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, আজিজুল ইসলাম খানসহ অনেকেই আত্বত্যাগ করেছেন। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে গড়আয়ূ বেড়েছে , শিক্ষার হার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু শোষণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দেশব্যাপি সুদ্ধি অভিযান চলছে, এটিকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি সৎ, দেশপ্রেমিক , ত্যাগী, আদর্শবান সমাজতন্ত্রের মানুষরাই পারে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পুরন করতে। আদর্শত্যাগী বাম বা ডান কারো পক্ষেই মুক্তিযুদ্বের স্বপ্ন পুরন করা সম্ভব নয়। যে স্বপ্নের অন্যতম অঙ্গিকার ছিল শোষনমুক্ত গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর সময়ে যে সংবিধান রচিত হয় তার চার মূলনীতির অন্যতম অঙ্গিকার ছিল সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটিকে অবশ্যই শোষনমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সাথে আমাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। কারন এদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম যে অংশীদার ছিলেন, তারা ছিলেন গরিব, কৃষক, শ্রমিক, মেহেনতী মানুষ তাদের মুক্তি অর্জনের মাধ্যমেই মুক্তিযোদ্ধের স্বপ্ন পূরন করা সম্ভব। গণতন্ত্রী পার্টি একটি আদর্শবান ত্যাগী, মুক্তিযুদ্বের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল নেতা কর্মিদের পার্টি।