নুহাদুর রহমান সোহেল
সামাজিক সংগঠন হলো একি সমাজ সংস্কৃতির কিছু মানুষের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বাড়ানোর এক মিলনস্থল। যেখানে একি সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে তৈরী হয় একটি পরিবার। একটি অঞ্চল হয়ে যায় একটি ঘরের ছাদ। একি ছাদে থেকে সবার সাথে সবার ভাব আদান প্রদানের মধ্যদিয়ে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য অংগীকারবদ্ধ হওয়া। একি অঞ্চলের মানুষ গুলোকে একি সুতায় বেধে একে অপরকে সুখে দু:খে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
সমাজের অবহেলিত মানুষগগুলোকে সঠিক রাস্তা দেখানোই সামাজিক সংগঠনের প্রথম কাজ। একতাবদ্ধ হয়ে সমাজের কিছু অসংগতি নিয়ে কাজ করা। একটি অঞ্চলের শিক্ষা স্বাস্থ্য স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করা, সচেতন করা। মানুষের পাশে থেকে মানুষের দু:খ দুর্দশা সুবিধা অসুবিধা সরকারের নজরে এনে কাজ করতে এগিয়ে যাওয়া। নিজের ইতিহাস ঐতিহ্য সবার সামনে উপস্থাপন করা, শিক্ষার হার বাড়াতে, কর্মসংস্থান গড়তে, জনশক্তি তৈরী করতে, জনসংযোগ তৈরী করতে একতাবদ্ধ হওয়া এবং সবাই মিলে কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং ক্ষেত্র বিশেষ সরকারের নজরে এনে সরকারের কাছ থেকে কাজ করিয়ে নেওয়া। সমাজের ছাত্রসমাজকে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা, গরীব মেধাবী মানুষগুলোকে কাজে লাগানো। নিজের সম্পদগুলো সঠিক কাজে লাগানোর পরামর্শ প্রদান করা, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনসচেতনতা তৈরী করা ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রয়োজন দক্ষ সংগঠক। প্রয়োজন একতা। প্রয়োজন জনসংযোগ। প্রয়োজন ভালো মানসিকতার। যত বেশি সংগঠন হবে তত বেশি জনসংযোগ বাড়বে।
এটি একান্তই ব্যক্তি মতামত।
লেখক :
সভাপতি
পথ শিশু ফাউন্ডেশন বি.ডি