——-
গ্রামীণ অঞ্চলের বহু মাদ্রাসা ও স্কুলে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস পরিচালিত হয়। এই দীর্ঘ ও অস্বস্তিকর সময়সূচি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের একাংশ ও অভিভাবকদের মতে, এই সময়ের পড়াশোনা মোটেও ফলপ্রসূ নয়।
যোহরের পরের ক্লাসে শিক্ষকদের মনোযোগ যেমন কম থাকে, শিক্ষার্থীরাও হয়ে পড়ে ক্লান্ত, অমনোযোগী ও বিরক্ত। ফলে দিনের শেষ দিকে ক্লাস হয়ে দাঁড়ায় শুধু উপস্থিতি নামক আনুষ্ঠানিকতা, আর শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরে ক্লান্তি ও অনাগ্রহ নিয়ে।
কী কী ক্ষতি হচ্ছে?
প্রাইভেট পড়ার চাপ: সকাল ৭–৮টা থেকে শুরু হওয়া প্রাইভেট ক্লাসেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকাংশ শক্তি ক্ষয় হয়। ফলে মূল ক্লাসে তারা থাকে অর্ধেক প্রাণশক্তি নিয়ে।
খাদ্যাভ্যাসের অবনতি: দুপুরের খাবার না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ঝালমুড়ি, সিংগাড়া জাতীয় ভাজাপোড়া খেয়ে সময় কাটায়। এতে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়।
দুপুরের গরম: বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশ হলেও দুপুরের পর তাপমাত্রা বেড়ে যায়, যা পড়াশোনার অনুকূল নয়।
সময়ের অপচয়: সকাল ১০টা থেকে ক্লাস হওয়ায় সকাল, দুপুর ও বিকেল—তিন সময়ই অপচয় হয়, কোনোটাই কাজে লাগে না।
শিক্ষক সমাজের একাংশ এই পরিবর্তন চান না। কারণ, কেউ প্রাইভেট পড়ানোয় ব্যস্ত, কেউ ব্যবসা, দোকান বা কৃষিকাজে জড়িত থেকে পরে প্রতিষ্ঠানে যান।
অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা বা ২টা পর্যন্ত ক্লাস হলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে। সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
লিখেছেন: রাজন হোসাইন