ঢাকাসোমবার , ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ

মুক্ত চিন্তায় বাধা’ একটি জাতির জন্য অশনি সংকেত!

প্রতিবেদক
admin
১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

Link Copied!

———-
একটি জাতি উন্নতি সাধন করতে পারে তখনই, যখনই সে জাতি নিজেদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারে বাধাহীন। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই; সেখানে স্বাধীনতা শব্দটা বেমানান। তাই মুক্ত চিন্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মুক্তচিন্তা হচ্ছে একটি বিশেষায়িত চিন্তন প্রক্রিয়া যেখানে কোন রকম সীমাবদ্ধ কিংবা প্রতিবন্ধকতার প্রভাব থাকবে না। কাজী সাইফুদ্দিন মুক্ত চিন্তার সংজ্ঞায় বলেন- মুক্ত চিন্তা মানে “Open system of Thought” অর্থাৎ চিন্তার উন্মুক্ততা।

অতি সম্প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- তার ফেসবুক ওয়ালে তার মতামত প্রদান করার প্রেক্ষিতে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ছাড়া আমরা পূর্বেও দেখেছি ফেসবুকে, টকশোতে, ব্লগে তাদের মত প্রকাশ করার ফলে তাদের হত্যা করা হয়েছে। কেননা তাদের মত একটি গোষ্ঠীর বিপক্ষে গিয়েছে। তাহলে আমরা কীভাবে মত প্রকাশ করব? আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কে দিবে? তাহলে বলা যায় যা কিছু হবে হোক আমরা টুঁ শব্দ করতে পারব না! আমরা একটি জাতির উন্নয়নে, একটি দেশের উন্নয়নের প্রেক্ষিতে সমালোচনা করতে পারব না! সাংবাদিক ও ব্লগাররা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী সত্য হলেও তা বলতে পারবে না। তাহলে কি বলা যায়; আমরা বন্দী জাতি?

প্রত্যেক দেশেই মুক্ত মত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন হচ্ছে এবং কি মুক্ত মত প্রিয় জাতিরা তা প্রতিষ্ঠা করছে। ইংরেজ কবি মিল্টন সপ্তদশ শতকে ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হন বিবেকের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায়। অ্যারিওপ্যাজিটিকায় তার উচ্চারণ ছিল এই রকম; দাও আমায়, জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা কইবার স্বাধীনতা দাও, মুক্তভাবে বিতর্ক করার স্বাধীনতা দাও। সবার ওপরে আমাকে দাও মুক্তি। লক্ষণীয় যে, শর্তহীন বাকস্বাধীনতার অধিকার আজও আমরা অর্জন করতে পারিনি। আমি কি করব না করব সেটা যদি অন্যজন ঠিক করে দেয় তাহলে আমার কাজ কি! আমার নিজস্ব চিন্তার জগৎ বলে কিছু আছে বৈকি!

বাক্‌স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর দশটা গণতান্ত্রিক অধিকারের মতো নয়, এটি গণতন্ত্রের মৌল ভিত্তি। আর সবকিছুই এর ওপর নির্ভরশীল। এটি খুবই মৌলিকভাবে গণতন্ত্রের সবচেয়ে মৌলিক উপাদান। ফলে এই অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া, সংরক্ষণ করা ও তাকে বিকশিত করা রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, যেটা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সবাই নির্বিঘ্নে মত প্রকাশ করতে পারবে, কথা বলতে পারবে, লিখতে পারবে, সমালোচনা করতে পারবে এবং নিরাপদে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা পাবে এমন বাংলাদেশ কামনা।
———-
আমজাদ হোসেন হৃদয়
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন

জুলাই সনদের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলে স্বাক্ষর করবে এনসিপি

বাড়ছে মাদকের বিস্তার, অনিরাপদ হয়ে উঠছে চবি ক্যাম্পাস

উজানটিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের ২(দুই)সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে চবি ক্যাম্পাসে বাইসাইকেল র‍্যালি

কবিতা:- স্মৃতির রোমন্থন

জোহরান মামদানির বিজয় ও বাংলাদেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং কয়েকটি কথা; প্রেক্ষিত বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন -মোঃ ইমন হোসেন

ফাস্টফুড যখন মরণঘাতি

গার্লফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্টে সৌরভ নামে এক পর্যটকের আত্মহত্যা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আলী রীয়াজ

নবম ধাপে আল মুসাইদাহ ফাউন্ডেশনের ফ্রি চক্ষু ছানি অপারেশন সম্পন্ন

আওমীলীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব আমরা তুলে নেব : মির্জা ফখরুল

বুটেক্সে দুই দিনের পৃথক ঘটনায় তিনজনের সাময়িক বহিষ্কার ও ছয়জনের অর্থদণ্ড