ঢাকাশুক্রবার , ১৮ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

প্রতিহিংসা নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা হোক

প্রতিবেদক
জুবায়েদ মোস্তফা
১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২:১৪ অপরাহ্ণ

Link Copied!

কার্ল মার্কস বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বেশি মানুষকে যে সুখী করতে পারে, সেই সবচেয়ে বেশি সুখী।’ যে কাজ চারপাশের মানুষের জীবনকে আনন্দময় করে, তার তৃপ্তি মানুষকে দেয় গভীরতম প্রশান্তি।

আমরা জানি,বর্তমান সমাজে প্রতিযোগিতা একটি স্বাভাবিক এবং অপরিহার্য বিষয়। শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, এমনকি সামাজিক সম্পর্কেও প্রতিযোগিতার প্রভাব অপরিসীম। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার প্রকৃতি যদি সুস্থ না হয়ে প্রতিহিংসাপূর্ণ হয়, তবে তা ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়ের জন্যই ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। প্রতিহিংসাপূর্ণ মনোভাব অন্যের ক্ষতির চেয়ে নিজের ক্ষতি বেশি করে শারীরিক ও মানসিকভাবে ।

প্রতিহিংসা মানেই হলো অন্যের ক্ষতি করা বা তাকে পিছিয়ে দিতে এমন কোনো কাজ করা, যা নীতিবহির্ভূত। অন্যদিকে, সুস্থ প্রতিযোগিতা হলো সেই মানসিকতা যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নিজেদের উন্নতির প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে।

প্রতিহিংসার ফলে যে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়, তা শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি সমাজেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিহিংসাপূর্ণ মানসিকতা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটায়। কর্মক্ষেত্রে এটি পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে এবং টিমওয়ার্কের ক্ষতি করে। অন্যদিকে, সুস্থ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের শেখায় কিভাবে সৃজনশীল হতে হয়, কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে আরও ভালো কাজ করতে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।

তাহলে, সুস্থ প্রতিযোগিতা কীভাবে গড়ে তোলা সম্ভব? প্রথমত, পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এর ভিত্তি স্থাপন করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার শিক্ষা দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা এমন হওয়া উচিত যাতে পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সময় ন্যায় এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে। তৃতীয়ত, ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সবাইকে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে তাতে মনোনিবেশ করতে হবে, অন্যের ক্ষতি করে নয় বরং নিজের উন্নতির মাধ্যমে।

যদি প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবে তা শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়নই নয়, বরং সামগ্রিক সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিটি মানুষের উচিত এই সত্যটি উপলব্ধি করা যে, অন্যকে পিছিয়ে দেওয়া নয়, বরং নিজের দক্ষতা বাড়ানোই প্রকৃত জয়।

আর একটা কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিত, অন্যের ভালো করলে সেটা প্রাকৃতিকভাবে নিজের কাছেই ফিরে আসে। আমাদের উচিত হবে প্রতিহিংসার জালে আকৃষ্ট না হয়ে, সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

প্রতিহিংসার জ্বালা নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতার আলোয় উদ্ভাসিত হোক আমাদের সমাজ।

লেখক: জয় পাল অর্ঘ
শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

401 Views

আরও পড়ুন

‘জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন’

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে রাস্তা ব্লকেড

আটকের তিন ঘন্টা পর বাংলাদেশী তিনটি ট্রলার থেকে মাছ-জাল নিয়ে ফেলে ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ ধামাইল উন্নয়ন পরিষদ থেকে চার সদস্য বহিষ্কার, সংগঠনের তীব্র প্রতিবাদ

কক্সবাজারে জমি বিরোধের জেরে বিএনপি নেতা নিহত : ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা

রক্ত ও সাহসের জুলাই:
মণিপুরি মুসলিম মেডিকেল ছাত্র ও “জুলাই যোদ্ধা” রফিকুল হাসানের স্মৃতিচারণ

ঋতুপর্ণা চাকমা: এক ফুটবলার, এক সংগ্রামী ঢাবি শিক্ষার্থী

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় ভারুয়াখালী জামায়াতের নিন্দা ও প্রতিবাদ

কুস্তি খেলা আমাদের বাবা দাদার এবং সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য

বোয়ালখালী প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

লাশের উপর নৃত্যঃ স্বপ্নের পথে কেনো রক্তের ছাপ?

শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে পরিত্যক্ত ঘর ও পাহাড়ের ঢাল থেকে ২ লাশ উদ্ধার