————–
প্রযুক্তির কল্যাণে স্মার্ট ফোন আমাদের হাতে হাতে। স্মার্টফোন ব্যবহার করেন অথচ কখনো পর্ণগ্রাফী দেখেন নি এমন তরুণ-তরুণী সংখ্যায় খুবই কম।
স্বভাবত আমরা যখন কোন সিনেমা বা নাটক দেখি তখন আমরা নিজেকে তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে কল্পনা করি। একজন মানুষ যখন পর্ণগ্রাফী দেখে তখন সেও নিজেকের ভিডিওটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে কল্পনা করে। প্রর্ণগ্রাফীর এই সকল ভিডিওগুলোতে নারীকে কেবল যৌন সুখ লাভের উপাদান হিসেবে উপস্হাপন করা হয়। যখন একজন মানুষ এসকল ভিডিও ক্রমাগত দেখতে থাকে তখন সে খুব সহজেই এগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাদক মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশে প্রভাব ফেলে পর্ণগ্রাফীও একই জায়গায় প্রভাব ফেলে।
একজন কিশোর যখন এধরণের ভিডিও দেখে তখন যে নারীকে যৌন আনন্দ উপভোগ করার বস্তু ভাবতে শুরু করে। সে ভুলেই যায় যে, একজন নারীরও দুঃখ, বেদনা, হাসি, কান্না ইত্যাদি মানবিক অনুভুতি রয়েছে। স্কুলের সহপাঠি, বাসার কাজের মেয়ে, পাশের বাসার ভাবী যাকে পাও তার সাথেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন স্হাপন কর, পর্ণগ্রাফী এ শিক্ষাই দিচ্ছে। যার ফলে পর্ণগ্রাফীতে আসক্ত ব্যক্তি সবসময় কেবল এটা কল্পনা করে যে সে কিভাবে তার আশে পাশের মানুষগুলোর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে। একপর্যায়ে সে তার পরিবারে সদস্যরাও তার দ্বারা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়। সে ধর্ষণের মতো অপরাদ করার সাহস করে।
তাই এখনই সময় সচেতন হওয়ার। আজ আপনার সন্তান লুকিয়ে পর্ণগ্রাফী দেখছে কাল হয়তো ধর্ষকের বেশে রাস্তায় বের হবে। আপনার সন্তান কাদের সাথে মিলামেশা করে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন। পর্ণগ্রাফীর খারাপ প্রভাব সম্পর্কে তাকে সচেতন করুন। তাকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে উৎসাহ দিন। আপনার সন্তানের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করুন।
সিয়াম আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়