——–
বৃহত্তর মহেশখালীর দুইটি দ্বীপ ইউনিয়ন মাতারবাড়ী-ধলঘাট। দ্বীপ ইউনিয়ন হওয়াতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই অঞ্চল নাগরিক বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
ভৌগোলিক অবস্থান থেকে এই অঞ্চল সব সময় প্রকৃতিক দূর্যোগের আশংকায় থাকে,প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই অঞ্চলে কতৃপক্ষের আশার বাণী ছাড়া খুব বেশী সাহায্য পাওয়া যায় না।
বৃহত্তর মহেশখালী উপজেলা জুড়ে যে অনুদান আসে তা বিতরণ করতে করতে মাতারবাড়ী-ধলঘাটা পর্যন্ত এসে হয়ে যায় অল্প যা এই অঞ্চলের জন্য খুব সামান্য।
সর্বাঙ্গে ব্যাথা ওষুধ দিবো কোথায়?এমন একটি অঞ্চলে সামান্য চাল-ডালের সাহায্য ব্যাথা সারানোর জন্য কি যথেষ্ট?এক দিকে দ্বীপ অঞ্চল মাতারবাড়ী-ধলঘাটা তার মধ্যে মুল উপজেলা গোরকঘাটা থেকে মাতারবাড়ীর দূরত্ব গুগল ম্যাপ বলছে ৩৫ কিলোমিটার।
মাতারবাড়ীর কোন রোগীর স্বাস্থ্য সেবা নিতে হলে তাকে সড়কের যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে গাড়ীতে থাকতে হবে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। অনেকটা ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা যাওয়ার মতো।আবার আপনি যদি কোন বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে চান তাও ঐ একি পথে যেতে হবে।
মাতারবাড়ীতে আগুন লেগেছে ফায়ার সার্ভিস কল করবেন?কোন সমস্যা নাই।দেড় ঘন্টা পর্যন্ত আগুন না জ্বলে ফায়ার সার্ভিস আসা পর্যন্ত আগুন অপেক্ষা করবে,এমনটি চিন্তা করছেন? অথচ এমন অহরহ ঘটনা মাতারবাড়ীতে ঘটেছে ফায়ারসার্ভিস আসতে আসতে সব পুড়ে ছাঁয়। উন্নয়নের এমন মহা উৎসবেও কেন মাতারবাড়ী-ধলঘাটা পিছিয়ে থাকবে?
মাতারবাড়ী-ধলঘাটে সরকারের মেঘা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকারের ব্যবসায়িক হাব গুলোর মধ্যে মাতারবাড়ী-ধলঘাটা একটি।সেখানকার নিরাপত্তার বিষয় অবশ্যই চিন্তার খোরাক রাখে।
যদি সমস্যা গুলোর সমাধান পেতে হয় এই অঞ্চল কেন্দ্রিক সরকারের আলাদা জোন থাকা জরুরি। যদি উপজেলা কিংবা পৌরসভা ঘোষণা করা হয় এই অঞ্চলের জন্য আলাদা বরাদ্দ আসবে যা এখানকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তাই আমি মনে করি খুব দ্রুত মাতারবাড়ী-ধলঘাটা কেন্দ্রিক আলাদা উপজেলা কিংবা পৌরসভা ঘোষণা করা হোক।
———
ওয়াহেদ আমির,
সংবাদকর্মী।