ঢাকাশনিবার , ১৭ মে ২০২৫
  1. সর্বশেষ

অবহেলায় নিষ্প্রাণ মীর জুমলার ঢাকা গেট

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১০ অক্টোবর ২০১৯, ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

——————–
মীর জুমলার ঢাকা গেট নাম শুনেই বোঝা যায় এটি ছিল ঢাকা নগরীর প্রবেশদ্বার আর নির্মান করেছিলেন মীর জুমলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এবং বাংলা একাডেমির মাঝামাঝি জায়গায় এই ঐতিহাসিক গেটটির অবস্থান। বর্তমান দোয়েল চত্বর নামক জায়গাটির পূর্বনাম পুরাতন নাখখাস বা দাস বাজার। এই দাস বাজার নামক জায়গাটি ছিল ঢাকা শহরের সীমানা নির্দেশক।

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আব্দুল করিমের লেখা গ্রন্থ ‘ঢাকা দি মোঘল ক্যাপিটাল’-এ এই গেট সম্পর্কে বিস্তারিত ইতিহাস পাওয়া যায়।
উক্ত বইয়ে ড. করিম এই গেটটিকে একটি বহুল ব্যবহৃত নগরদ্বার হিসেবে উল্লেখ করেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লখ করেছেন গেটটির সাথে সংযুক্ত রাস্তাটি যেটি কিনা সরাসরি টঙ্গি পর্যন্ত ছিল। ঢাকা মোঘল আমলে সুবা বা প্রদেশের প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক রাজধানীর মর্যাদায় থাকায় নগরীর গুরুত্ব ছিল নানা কারণে ব্যপ্ত।

প্রশাসনিক দপ্তর তো বটেই, বাণিজ্যিক দপ্তরগুলো বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চলে স্থাপিত হওয়ায় এই গেটটি ছিল উত্তর দিকের জন্য প্রধান এবং স্থলপথগুলোর মধ্যে অধিক ব্যবহৃত পথ। কোম্পানি আমলে তেজগাঁও এলাকায় গড়ে উঠা শিল্প কারখানাগুলোরও দাপ্তরিক কাজ হতো মূল শহর বা পুরান ঢাকার ভেতরেই আর ব্যবহার হতো এই গেটটি।

গেটটির নির্মাতা মোঘল সুবাদার মীর জুমলা আসাম অভিযান করার আগে এই গেট থেকে বের হওয়া রাস্তাটি সংস্কার করেন৷ সংস্কার কাজের দৈর্ঘ ছিল গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক নাগাদ। সংস্কারকালে টঙ্গীতে তুরাগ নদীর উপর তিনি একটি পুল বা ব্রীজ নির্মাণ করেছিলেন। মীর জুমলার সংস্কার করা রাস্তাটিকেই আমরা ময়মনসিংহ রোড নামে চিনি।অর্থাৎ, ময়মনসিংহ রোডের সূচনাস্থল ছিল মীর জুমলার ঢাকা গেট।

মীর জুমলার ময়মনসিংহ রোড ও টঙ্গী ব্রীজ নির্মাণ প্রসঙ্গে বি.সি. এলেন Eastern Bengal District Gazetteers Dacca তে উল্লেখ করেন, “…The road to Mymensingh and the bridge on it at Tongi were made by him.”

আজ ঐতিহাসিক এই গেটটি অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জীর্ণ অবস্থায় আছে৷ তার মধ্যে আবার মেট্রোরেলের ধকল। আবার গজিয়েছে বটের চারা৷ উপমহাদেশের অধিকাংশ ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের মূল্য কারণ স্থাপনায় বটের আধিপত্য ও নদী ভাঙন।

এই ঐতিহাসিক স্থপনা ও চারশ বছরের রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে শক্তিশালী সাক্ষীকে আমরা চোখের সামনে এভাবে বিলীন হয়ে যেতে দেখছি। আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনার এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে প্রশাসন সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা নেবে।

নাছিম ভাইয়ের পরামর্শে সেকালের একখানা ছবি যুক্ত করা হল।
—————————–
জুলিয়াস সিজার তালুকদার
সাধারণ সম্পাদক
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদ

291 Views

আরও পড়ুন

কাপাসিয়ায় জামায়াতের কর্মী ও সহযোগী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

চকরিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ২ সিএনজি আরোহী নিহত

গ্রাম থেকে শহরে বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে অন্বয় দেবনাথ ও ‘সায়েন্স বী’র গল্প

রাঙামাটিতে শনিবার সকালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সকল চিহ্ন মুছে ফেলা হবে

লামা ফাইতংয়ে আহসান উল্লাহ’র বাগানের ৫ শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

বিমান উড্ডয়নের পর চাকা খুলে পড়ে, ঢাকায় সফল জরুরি অবতরণ

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা: ফেনীতে সাইফুল ইসলাম জিকুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল

আজাদের কবিতা ‘এ কে আজাদ’

শান্তিগঞ্জে কয়ছর এম আহমদ এর অনুপ্রেরণায় ফ্রি চক্ষুসেবা ক্যাম্প

রাঙামাটিতে সাংবাদকর্মীদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির মতবিনিময়

বোয়ালখালীতে ষোড়শ উপজেলা স্কাউট সমাবেশের উদ্বোধন

দোয়ারাবাজার  উপজেলা প্রেসক্লাবের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত