ক্ষণিকের অনুধ্যান
সানজিদা আরমিন মীম
প্রিয়,
কাব্যের ভাষা আমি জানিনা, শুধু দেখেছি
যেক্ষণে তুমি দীপ্ত পদে হাজির হয়েছিলে
চক্ষুযুগলের দৃষ্টির পটভূমিতে, এ আহত হৃদয়
আমার পুলকিত হয়েছিলো তোমার দর্শনে। সেখানে
ঠিক যেন ক্যাকটাসের প্রতিটি কাঁটা হয়ে
বিদ্ধ হয়েছিলো তোমার চাহনি।
তুমি এক অচেনা অতিথি পাখি, তুমি মুগ্ধতার মূর্তি।
ওগো প্রিয়,
আঙুলের ভাজে থাকা কলমে তোমার
স্নিগ্ধ পরশ মেঘের শুভ্রতা ছাড়িয়ে বহুদূর।
বরষার বারি নৃত্যের মতোই তুমি ক্ষণিকের প্রয়োজনে
এসে আবার মিলিয়ে গেলে ধূসর দৃষ্টিসীমায়।
তোমার নির্মল হাসি আমি অবলোকন করেছি,
যেন পুস্প কাননে উড়ন্ত প্রজাপতির মতোই তা;
হরণ করে নিয়েছে আমার অনুধ্যান।
প্রিয়তম,
আমি সাহিত্যের রং চিনিনা। শুধু বুঝেছি
রবীন্দ্রনাথের ‘জায়গা আছে’র মতোই তোমার
কন্ঠস্বর; যেন বালুচরে কাশের মায়া হয়ে
অধিকার করে নিয়েছে আমার হৃদয় সিংহাসন।
সাইক্লোনের প্রতিটি ঘূর্ণনের মতোই তুমি
অস্ত্বিত্ব ফেলে গেছো কল্পনার প্রতিটি মূহুর্তে।
আমার মনন জগতের দ্বারে শুধু তোমারই বিচরণ।
ওগো প্রিয়তম,
তুমি দেখেছিলে কি শরতের কাশবন? কখনো
শুনেছিলে কি মৌমাছির গুঞ্জন? তুমি কি কখনো
বারিশের মাতাল দিগন্তে নিজেকে হারিয়েছো?
আমি চন্দ্রের মলিন আলোর তরঙ্গেও
তোমাকে খুঁজে পেয়েছি। তুমি সে ই;
তুমি তো বরষার একগুচ্ছ কদম। পবিত্র থেকে পবিত্রতম
ভালোবাসার এক নির্মল প্রতিচ্ছবি তুমি।
লেখক: সানজিদা আরমিন মীম।
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।