ইডেন কলেজ প্রতিনিধি:
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক দিনে ব্যাগসহ ছয়টি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা কলেজের তিনজনের ৩টি ও বদরুন্নেসা কলেজের তিন নারী শিক্ষার্থীর ৩টি মোবাইলসহ ব্যাগ চুরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে আনুমানিক বিকাল ৪ টার দিকে ইডেন কলেজের ১ নং গেইট সংলগ্ন ব্যাগ রাখার স্থান থেকে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে যথারীতি সাত কলজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা দিতে আসে ঢাকা ও বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা দিতে এসে ইডেন কলেজের ১নং গেইটের ভেতরের স্থানে ব্যাগসহ মোবাইল রাখেন। সেখানে দায়িত্বরত গার্ড উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গার্ডসহ একটি চক্রের যোগসাজশে চুরি হয়েছে। তবে ইতোপূর্বে সেখানে মোবাইল সহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাখলেও চুরির ঘটনা ঘটেনি।
ভূক্তভোগী ঢাকা কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম বলেন, “আমি ইডেন কলেজের ভেতরে শিক্ষার্থীরা যেখানে ব্যাগ রাখে সেখানে আমি ব্যাগ রাখি। ব্যাগের ভেতর আমার মোবাইল ছিল। পরীক্ষা শেষ করে বাহিরে আসলে দেখি আমার ব্যাগসহ মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এরপর আরও তিনজন মেয়ে ও দুইজন ছেলেসহ মোট ছয়জনের মোবাইল চুরি হয়। পরবর্তীতে আমরা প্রিন্সিপালের রুমে যাই কিন্তু আমরা ম্যামকে পাইনি।”
এ বিষয়ে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শামছুন নাহার বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। অসুস্থতা ও মিটিং থাকার কারণে আমি সেসময় কলেজে উপস্থিত ছিলাম না।”
শিক্ষার্থীদের ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে আসার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “আমাদের সময় তো মোবাইল ছিল না আমরা কি পরীক্ষা দেই নাই? মোবাইল রাখার মত পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন যদি না থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা মোবাইল আনবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ক্রমাগতভাবে মাইকিং করে জানিয়ে দিই শিক্ষার্থীরা যেন কোন ব্যাগ ও মোবাইল ভিতরে না নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীরা নিজেরাও জানে জায়গাটি অরক্ষিত। তাদেরকে বারবার বলা হয় ব্যাগ ও মোবাইল যাতে ভিতরে না আনে কারণ আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভালো না। এই সিসি ক্যামেরা অনেক পুরোনো। আমি বিষয়টি আগামীকাল কলেজে গিয়ে দেখবো।”
এছাড়া এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইডেন মহিলা কলেজেরই একজন সচেতন শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের কলেজ থেকে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে যা খুবই দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেইসাথে প্রশাসনের নিরাপত্তার যে উদাসীনতা তা আমাদের উদ্বীগ্ন করে। কয়েকমাস আগেও শুনেছি কলেজের সিসিটিভি নষ্ট। কিন্তু এভাবে প্রশাসনের দায়সারা অবস্থান কি আসলেই কাম্য হতে পারে?”