লক্ষ্মীপুরের হীরামনির কথা আমরা খুব দ্রুত ভুলে গেলাম। হীরামনিদের মতো সমাজের নারীদের কিছু কাল্পনিক আত্মকথন ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা৷

ছবিঃ১ আলোকিত এক সুন্দর পৃথিবীতে তার আপন মহিমায় জন্ম নিলো এক শিশু।লিঙ্গভেদে পৃথিবী ঐ শিশুটির নাম দিয়েছে নারী।শিশুটির নারী নাম শুনেই যেন পাল্টে গেলো পৃথিবীর রূপ। আলোকিত সুন্দর পৃথিবীর আকাশ যেনো মুহুর্তেই পরিবর্তন হয়ে রূপ নিলো বিভৎসতায়।

ছবিঃ২ অতঃপর জন্ম নেওয়া নারী নামের শিশুটি বেড়ে উঠতে শুরু করলো সমাজ ও পরিবারের কঠোরতায়।নারীর জন্য সমাজের তৈরী করা কাঁটাযুক্ত পথই যেন কিশোরীর শৈশবের সঙ্গী।

ছবিঃ৩ যখন এই সমাজের একটি ছেলে সারা পৃথিবী দাবড়ে বেড়াচ্ছে, শৈশবকে করেছে জীবনের সোনালী মূহুর্ত ঠিক সেই সময় ঐ কিশোরীকে শৈশব উপভোগ করতে হচ্ছে বন্দীত্ব, শাসন আর সমাজের চাপিয়ে দেওয়া বেড়াজালে।


ছবিঃ৫ তার এই বন্দীত্বের মধ্যেও যেন এড়াতে পারলো না এই সমাজের মানুষের নামে জন্ম নেওয়া শয়তান আর পুরুষের রূপে জন্ম নেওয়া নরপশুর শকুনের চোখ।নারীর এই বন্দীত্ব আর কঠোরতায়ও যেন তার মন ভরলো না।চায় নারীর আরো অসহায়ত্ব। সমাজের কাছে নারী নামের মানুষটিকে আরো অবহেলিত না করলে কি তার বিভৎস অট্টহাসিটা মিলবে?পুরুষের রূপে জন্ম নেওয়া সমাজের কীট, কাপুরুষত্বের ক্ষুধা মিটাতেই সেই কিশোরীর উপর জোর করে চাপিয়ে দিল পৈশাচিক উন্মাদনা।

ছবিঃ৬ অবহেলিত নারী সমাজের হিংস্রতার ভয়ে সেই উন্মাদনার কথা জানালো না কাউকে।কিন্তু এরই মাঝে কিশোরীর মধ্যে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে আরেক মানব, হয়তো যার কোন পরিচয়ের খোঁজ নিবে না ঘুনে ধরা এই সমাজ। অবশেষে প্রকাশ হলো কিশোরীর ভেতর জন্ম নেওয়া আরেক মানবের কথা।

ছবিঃ৭ তাতেই যেন নেমে আসলো কিশোরীর জীবনে ঘৃণিত অন্ধকার। সমাজের সেই নরপশুর খোঁজ কেউ না নিলেও নিষ্পাপ কিশোরীর নাম দিয়েছে ধর্ষিতা আর তার ভেতর বেড়ে উঠা মানবের নাম দিয়েছে বেজন্মা। নিক্ষিপ্ত হলো এই নষ্ট হওয়া পুরুষ শাসিত সমাজের ঘৃণা আর অবহেলার অন্ধকার কূপে।
এই সমাজ অবহেলিত নারীর ধর্ষিতা নাম দিতে পারলেও নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই কাপুরুষের কোন নাম দিতে পারে নি। তাই হয়তো সে বিভৎস হাসি দিয়ে ছুড়ছে নতুন নারীসত্বার মাংসপিণ্ড ভোগের প্রত্যাশায়।
গল্প ও ছবিঃ সালমা তাসরিয়ান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি।