ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

মানবিক ডাক্তার দম্পতি ডাক্তার সৈকত দাস ও ঈশিতা দাস

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৮ এপ্রিল ২০২১, ২:৫৬ অপরাহ্ণ

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একজন ভালো ডাক্তারকে প্রায়শই তাঁর ‘ভিজিট’ দিয়ে মাপা হয়। অর্থাৎ যে ডাক্তারের ফি যত বেশি, তিনি তত ‘ভালো’ ডাক্তার। এই মানসিকতাকেই মূলধন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এক শ্রেণীর ডাক্তার। দেখা যাচ্ছে শহরাঞ্চলে বাস করেন ৮০-৮৫ শতাংশ ডাক্তার। এতএত ‘ভালো’ ডাক্তারদের মধ্যে কতজন মানবিক গুণসম্পন্ন। শহর এলাকায় একজন রোগী যেভাবে তাঁর ফি দিতে পারেন, গ্রামের মানুষ সেভাবে পারেন না।এজন্য ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, ভাল ডাক্তার হতে হলে আগে ভালো মানুষ হতে হবে। বহুকাল থেকেই এদেশের মানুষ ডাক্তারকে দেবতুল্য ভাবেন। পরম আস্থায় চোখ বুজে মেনে নেন তার পরামর্শ। কিন্তু ইদানীং ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। চিকিৎসা দেবার নামে অনেক ডাক্তার ক্লিনিক বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন । প্রাইভেটে ডাক্তার দেখাতে গেলে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা দিচ্ছেন আবার সরকারি হাসপাতালের সেবা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন । ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহার নিয়ে প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখা যায় নানা মন্তব্য । এসব কারণে ডাক্তারদের প্রতি সাধারন মানুষদের মনে দানা বাঁধছে অনাস্থা, অবিশ্বাস ও ক্ষোভ। সম্প্রতি কিছু নীতিবাচক ঘটনা সারাদেশকে নাড়া দিয়েছে শাহেদ আর ডাঃসাবরিনা কান্ড।কিন্তু খারাপের সংখ্যা নগন্য।
সমাজে মানবিক ডাক্তার প্রয়োজন। ডাক্তারদের মন থাকতে হবে। তবেই ডাক্তারের ওপর রোগীদের বিশ্বাস ফিরে আসবে।আমাদের সমাজের এমন কিছু ডাক্তার আছে যারা নিজের পেশাকে সম্মান করে এবং তার কাজকে দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করেন। গরীব রোগীদের আশার আশ্রয় হয়ে উঠেন । যার আচার ব্যবহারে রোগী মানসিক প্রশান্তি পান । তেমনি একজন ডাক্তার দম্পতি হলেন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার সৈকত দাস ও তার স্ত্রী ঈশিতা দাস। তারা মানবিক ডাক্তার হিসেবে শহরে পরিচিত । গরীব অসহায় মানুষের পাঁশে থেকে চিকিৎসাসেবার হাত বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্বপ্নই যার মানুষকে নিয়ে। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এমন কথা এখন কাল্পনিক কথা বলেই মনে হয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি মানুষের হৃদয়ে মায়া মমতা বিচার বিবেক জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি না করতো তবে এসব কথা ইতিহাসের পাতায় আসতো না। আর এ মূল্যবান কথাটির যথার্থ খুঁজে পাওয়া যায় তাদের জীবনাদর্শে।

ডাক্তার সৈকত দাস সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিজ দায়িত্বের পাঁশাপাশি চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ মানুষগুলোর পাঁশে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত থাকেন প্রতিনিয়ত। মন দিয়ে রোগীর সব কথাই শোনেন তিনি। সমস্যার কথা শুনে সঠিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন তিনি।

অবসর সময়ে তার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অনেক মানুষের কাছ থেকে ভিজিট নেন না। কাউকে বাধ্য করেন না ভিজিট দিতে। গরীব অসহায়দের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়ে যান। তিনি তার নিজ এলাকায়ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুনাম কুঁড়িয়েছেন।
ডাক্তার সৈকত দাস ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহন করেন । বাবা সুকেশ চন্দ্র দাস প্রাইমারি স্কুলে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত । সুনামগঞ্জ সরকারি জুবীলি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শেষ করে নটর ডেম কলেজে ভর্তি হোন । কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন । ৩৯ তম তম বিসিএসে উর্ত্তীন হয়ে নবজাতক ও শিশুরোগ চিকিৎসক হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে যোগ দেন ।
কথা হয় শহরের আইনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তির সাথে। তার সন্তানের চিকিৎসা করার দরকার। গরীব মানুষ ৫০০ টাকা চিকিৎসা ফি দিয়ে ইনজেকশন করানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এমন কথা জানতে পেরে ডা. সৈকত দাস কোন ধরনের ফি ছাড়াই সেবা দেন। ঔষধ কিনার টাকাও দেন তিনি । এরকম বহূ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তিনি । পাশাপাশি প্রতিমাসে চেষ্টা করেন গ্রাম অঞ্চলের শিশুদের নিয়ে ফ্রি মেডিক্যল ক্যাম্প করার । চিকিৎসা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন এই মানবিক দম্পতি ।

তার স্ত্রী ডাক্তার ঈশিতা দাসও অল্প দিনে সুনাম কুড়িয়েছেন । তিনি গাইনী ও প্রসুতি রোগ চিকিৎসক । মেডিকেয়ার কম্পিউটারাইজড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে চেম্বার করেন । বাসার চেম্বারেও রোগী দেখে থাকেন । বর্তমান সময়ে মানুষ ডাক্তারের কাছে যেতে মানুষ ভয় পায় কারণ কমিশনের আশায় একগাদা ঔষধ আর বিভিন্ন ধরনের পরিক্ষা- নিরীক্ষায় বিপাকে পড়েন সাধারণ রোগীরা। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণির মানুষ। কিন্তু ডাক্তার ঈশিতা দাস ব্যতিক্রম। তিনি সাধারণ শ্রেণির মানুষের কথা বিবেচনা করে সামান্য ঔষধ আর গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তার সাথে কথা বলে অনেক রোগীরা মনোবল ফিরে পান। বর্তমান সময়ে যখন বাইরের কাউন্টারের ফ্রি দিয়ে ভিতরে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে যেতে হয়। ঠিক এই সময়ে যাদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই খারাপ তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফ্রি নেন না ডাক্তার ঈশিতা দাস। । তাছাড়া তিনি বিভিন্ন কোম্পানির সৌজন্য ঔষধ (স্যম্পল) গুলো অস্বচ্ছল রোগীদের মধ্যে বিতরণ করে দেন।
কথা হয় এক মহিলার সাথে তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য ছিলো না । শেষে ডা. ঈশিতা দাসের কথা শুনে তার শরনাপন্ন হলে ডা. ঈশিতা দাস কোনো ধরনের টাকা ছাড়াই সেবা দেন উনাকে । সাথে কিছু ঔষধও দেন । এভাবেই ডা.ঈশিতা দাস বিভিন ্নমানুষ কে সেবা দিয়ে থাকেন ।

এ বিষয়ে ডাক্তার সৈকত দাস বলেন , আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি মাত্র । হাসপাতালে ডিউটি পালন করা অবস্থায় রোগী সবোর্চ্চ সেবা দেওয়া চেষ্টা করি । একজন চিকিৎসকের কাজ হচ্ছে জনগণকে সুচিকিৎসা সেবা প্রদান করা। আমি আমার সেই দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমাদের দায়িত্ব পালন করি তাহলে আমাদের সমাজ তথা দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিনত হবে। বাসায় ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার করি । গ্রাম থেকে অনেক গরীব রোগী আসেন কাছে তাদের কাছে তেমন টাকা পয়সা থাকে না । ডাক্তারের ফি দিলে ঔষধ কিনার টাকা থাকে না । এরকম অনেক রোগীকে চেষ্টা করি বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ।আমার

150 Views

আরও পড়ুন

পাঠকের অনূভুতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা, সাইনবোর্ড শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

সাইফুল ইসলামের কবিতা : শীতের আমেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ