ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

ভ্রমণে যা দেখবেন
বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
১৯ আগস্ট ২০২২, ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

ষাট গম্বুজ মসজিদ

বাংলাদেশ দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাটে অবস্থিত। ১৫ শতকের দিকে খান জাহান আলী নামের প্রখ্যাত সুফি দরবেশ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। প্রত্নস্থলটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে। মসজিদটিতে ৮১টি গম্বুজ আছে। তাহলে এটি কেন ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত? এর নির্ভরযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায় না। এ মসজিদটি ছাড়াও এর আশপাশে আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন আছে।

মসজিদের ঠিক পশ্চিমে সুবিশাল দিঘি ও পীর খান জাহান আলীর সমাধি উল্লেখযোগ্য। দেশের অন্যতম একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ খুব প্রসিদ্ধ। সারাবছরই সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

প্রাচীন ইমারতের চোখধাঁধানো নির্মাণশৈলী আমাদের যারপরনাই বিস্মিত করে তোলে। মসজিদের উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভেতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা। পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভেতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া।

জনশ্রুতি আছে, হজরত খানজাহান আলী (রা:) ষাট গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের জন্য সমুদয় পাথর সুদূর চট্টগ্রাম, মতান্তরে ভারতের ওডিশার রাজমহল থেকে তার অলৌকিক ক্ষমতাবলে জলপথে ভাসিয়ে এনেছিলেন। ইমারতটির গঠনবৈচিত্র্যে তুঘলক স্থাপত্যের বিশেষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

এ বিশাল মসজিদের চারদিকের প্রাচীর ৮ ফুট চওড়া, এর চারকোণে ৪টি মিনার আছে। দক্ষিণ দিকের মিনারের শীর্ষে কুঠিরের নাম রোশনাই কুঠির। এ মিনারে ওপরে ওঠার সিঁড়ি আছে। মসজিদটি ছোট ছোট ইট দিয়ে তৈরি। মসজিদের দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট, প্রস্থ ১০৮ ফুট ও উচ্চতা ২২ ফুট। মসজিদের সামনের দিকের মাঝখানে একটি বড় খিলান ও এর দু’পাশে পাঁচটি করে ছোট খিলান আছে। পশ্চিম দিকে প্রধান মেহরাবের পাশে একটি দরজাসহ ২৬টি দরজা আছে।

মসজিদ দর্শনীয় স্থানে রূপান্তরিত হওয়ায় সামনের আঙিনাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বাহারি ফুল গাছের সমারোহে। এসব গাছের নানা রকম ফুলও দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের মনে দোলা দিতে থাকে।ষা ট গম্বুজের পশ্চিম দিকে বিরাট একটি দিঘিও আছে।

ষাট গম্বুজ মসজিদের ঘুরে অটো-রিকশা ভাড়া করে খান জাহান আলীর মাজার শরীফ দেখতে পাবেন। এই স্থানে মানুষের ভীড় একটু বেশিই থাকে সব সময়। দালানগুলোর যত্নআত্তিও বেশি। অনেক ফকির-সন্ন্যাসীর দেখা মেলে সেখানে গেলে। খাবারের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর দোকান পাবেন সেখানে।
মাজারের ঠিক সামনেই বিশাল আরেকটা দীঘি উৎসুক লোকজন দীঘির পাড়ে ভিড় করছে। সেখানে দেখতে পাওয়া যায় কুমির,অনেক সময় কুমিরা পাড়ে উঠে।

কীভাবে যাবেন?

ঢাকার গুলিস্তান থেকে সরাসরি বাস আছে বাগেরহাটে যাওয়ার। গাবতলী থেকেও বাগেরহাটে যাওয়ার বাস ছাড়ে। যারা সময় নিয়ে যাবেন, তারা বাগেরহাট থেকে মোংলায় গিয়ে সেখান থেকে মোটরচালিত নৌকায় চড়ে সুন্দরবনে ঘুরে আসতে পারেন।

কোথায় থাকবেন?

বাগেরহাট শহরে এসি ও নন এসি বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। সরকারি গেস্ট হাউস আছে সেখানে। হাইওয়েতেও বেশ কিছু হোটেল আছে। বাগেরহাট শহর থেকে খুলনা মাত্র এক ঘণ্টার পথ। চাইলে খুলনা গিয়েও থাকতে পারেন।

875 Views

আরও পড়ুন

আজ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল

১৪ জুলাই পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল জনসভা

ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর শাখার নতুন দায়িত্বে যারা

টেকনাফে মিনি ড্রাম-ট্রাকে মিললো৫০হাজার ইয়াবা,আটক-২

মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে বিএনপি নেতা সাথী বহিষ্কার ও গ্রেফতার সমীকরণে : নিরব ক্ষোভে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা

কাপাসিয়ায় খাল বিলে অভিযান চালিয়ে ২৫ টি ম্যাজিক চাই ও জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

মাদারীপুর জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ

কেরোয়ার একমাত্র রাস্তাটি আজ জনভোগান্তির প্রতীক

টেকনাফে বিজিবি অভিযানে৮১হাজার৩৫৫পিস ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ স্ত্রী আটক,স্বামী পলাতক

গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে সাবেক এমপি কাজল

উখিয়ায় কেন্দ্র প্রতিনিধি সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী