হুমায়ুন কবির পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ঃ
রাত পোহালে জনপ্রতিনিধির ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন।
আগামীকাল সোমবার ১৭ অক্টোবর সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা৬ চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা।
এর মধ্যে পেকুয়া ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থীদের প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলার চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
পেকুয়া ৭নং ওয়ার্ড থেকে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।প্রতিটি চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আমেজ। কে হবেন পেকুয়া উপজেলা ৭নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য? এই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।নির্বাচন যত সন্নিকটে এসেছে ততোই উত্তপ্ত হচ্ছে নির্বাচনী মাঠ।সামাজীক যোগাযোগ চলছে ভক্তদের প্রচার প্রচরণা।কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলা ৭নং ওয়ার্ড থেকে ৭জন ফর্ম সংগ্রহ করছিল,এর মধ্যে একজন প্রত্যাহার করলে বাকি ৬জন নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।প্রত্যাহারকৃত ব্যাক্তি হলে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ বিএ।তিনি বলেন তাদের রাজনৈতিক অভিভাবক চকরিয়া -পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলমের নির্দেশে আমি প্রত্যাহার করেছি।তাঁর ফর্ম প্রত্যাহারে পেকুয়ার প্রবীণ আওয়ামী নেতাকর্মীদের মাঝে সমালোচনা ঝড় বয়ে যাচ্ছে।কারণ শহিদুল্লাহ ফর্ম প্রত্যাহার করার কারণ হলো সংসদ সদস্য জাফর আলমের আস্তা বাজন এইচ এম শওকত সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী মাঠে যে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন তাঁরা হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আজম(টিউবওয়েল মার্কা),বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবছার,জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত( থালা মার্কা), বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল হামিদ(ক্রিকেট ব্যাট),বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রিপন চৌধুরী(ঢোল মার্কা) এবং জয়নাল আবেদিন(হাতি মার্কা)।পেকুয়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪জন।এই ৯৪জন জনপ্রতিনিধি বানাবেন পেকুয়ার ৭নং ওয়ার্ডের একজন সদস্য।
ভোটারদের কাছে টানতে জোর প্রচেষ্টা চলাচ্ছেন প্রার্থীরা।অনেক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের মাঝে কালোটাকা দিয়ে ভোট ক্রয় করছেন।জয়ী হতে মরিয়া সব প্রার্থী। এই ৬জন প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ আজমগীর(আজম)এর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তরুণ নির্ভর, সদালাপী, যোগ্য, সাহসী, শিক্ষানুরাগী। তিনি সবসময় ন্যায়,অসহায় মানুষের আপদে-বিপদে সবসময় পাশে থাকেন।
অনেক ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন; এক প্রার্থী রাজনৈতিক নেতাদেরদের দিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে এবং ১লক্ষ টাকা করে দিয়ে ভোট ক্রয় করতে চাচ্ছে।ইউপি সদস্য বলেন কোনো অদক্ষ, কারো ব্যবসায়ীকে আমরা ভোট প্রয়োগ করব না!
তরুন ইউপি সদস্য সাহেদ বলেন;আমাকে জনগণ যেমন টাকা ছাড়া ভোট দিয়েছে,আমি যোগ্য প্রার্থীকে টাকা ছাড়া ভোট প্রদান করব।কোনো অবৈধ কালো টাকা এবং রাজনৈতিক নেতাদের চাপ প্রয়োগ করে আমার ভোট ক্রয় করতে পারবে না।
পেকুয়া উপজেলা ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আজম বলেন;সকল জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করব আপনারা কালো টাকার প্রতি লোভ করবেন না।আমি ইয়াবা,মাদকের বিরুদ্ধে ভোট করছি।আমি যদি নির্বাচিত হয় ইউনিয়ন অনুযায়ী বরাদ্দ ভাগ করে দিব ইনশাআল্লাহ। আমি সকল ভোটারদের ভোট কামনা করছি এবং সবার দোয়া কামনা করছি।
সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল হামিদ বলেন;টাকার খেলা একদিন ভালোবাসা চিরদিন। তিনি অভিযোগ করে বলেন অনেক ইউপির সদস্যের বাড়িতে রাতে টাকা নিয়ে যাচ্ছে কিছু প্রার্থী।টাকা দিয়ে কেউ ভোট দিবেন না!