নিজ্বস প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
র্যাব-৭ এর একটি চৌকস দল গত ০৫ মার্চ আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা সহ আটক করে এক মাদক ব্যবসায়ীকে।। আটককৃত ব্যক্তি হলো টেকনাফের সাবরাং হারিয়াখালী পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে গুরা মিয়া (৬৫)।
র্যাব-৭ চট্রগ্রাম এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী এলাকার রওজাতুল উলুম মসজিদের পশ্চিম পাশে হাফেজ উল্লাহ প্রঃ ভুট্টো এর বসতবাড়িতে মাদকদ্রব্য ইয়াবার একটি বড় চালান বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছে।
উক্ত সংবাদে শুক্রবার রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা মো. গুরা মিয়া (৬৫)কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, পলাতক আসামী ফয়েজ উল্লাহ প্রঃ ভুট্টো এর টিনশেড বসতঘরের ভিতরে বাম পাশের কক্ষের সিলিং এর উপর বিশেষ কায়দায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা সংরক্ষণ করে রেখেছে। আসামীর দেয়া তথ্যমতে এবং নিজ হাতে বাহির করে দেওয়ামতে উক্ত ঘরের সিলিং এর উপরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ২ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, টেকনাফ থানাধীন সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার পলাতক আসামী মো. ইসমাইল এর বসতঘরের পিছনের বারান্দার চালের সাথে বিশেষ কায়দায় ঝুলানো অবস্থায় আরো ইয়াবা রয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে এবং তার নিজ হাতে বাহির করা দেওয়ামতে বর্ণিত স্থান বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের বস্তা হতে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, পলাতক আসামিদের সহিত পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার হতে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় বড় চালান বাংলাদেশে আনয়ন করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবীদের কাছে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা । গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।