নিউজ ডেস্ক::সিলেট শহরতলীর বালুচরে গ্যাস লাইনের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে স্থাপনা। এমনকি বসানো হয়েছে বাজারও। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন ২০ হাজার মানুষ। জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ বারবার নোটিশ দিলেও তারা কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ওপর গড়ে উঠেছে বালুচর নয়াবাজার। এ বাজারের নিচ দিয়ে যাওয়া ভূগর্ভস্থ গ্যাস সঞ্চালন লাইনের উপরে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা রয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ বাজারে কেনা বেচা করে থাকেন। আইনানুযায়ী গ্যাস সঞ্চালন লাইনের উভয়পাশে ১০ ফুট করে ২০ ফুট ভূমির মালিকানা গ্যাস কর্তৃপক্ষের।
এ ভূমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা করা নিষিদ্ধ। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে বালুচর এলাকায় ভূগর্ভস্থ গ্যাস সঞ্চালন লাইনের উপর দিয়েও অনেক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কেস নং ১৭/১৯৮৫-৮৬ এর প্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক অধিগ্রহণের নিমিত্তে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ১০ ধারা অনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান সাপেক্ষে সাদিপুর প্রথম খণ্ড মৌজায় জেএল ৯৩ এ মোট ১৯টি দাগে ১ একর সাড়ে ১৩ শতক ভূমি অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে অধিগ্রহণকৃত ভূমির মধ্য দিয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ তাদের ভূগর্ভস্থ গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করে। ধীরে ধীরে প্রভাবশালীরা দখল করতে শুরু করেন জালালাবাদ গ্যাসের অব্যবহৃত ভূমি। এর মধ্যে ৭টি দাগের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে বালুচর নয়াবাজার। পরবর্তীতে প্রভাবশালী চক্র বাজারে দোকানপাট ও অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে নিয়মিত ভাড়া উত্তোলন করতে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিতেও বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এতে করে ঝুঁকি বাড়ছে বালুচরের অধিবাসীদের। বালুচরের বাসিন্দা মো. জালাল আহমদ জানিয়েছেন, নয়াবাজারে জালালাবাদ গ্যাসের মালিনাকাধীন ভূমিতে অবৈধভাবে বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি ভূমিতে বাজার দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি চিহ্নিত ভূমিখেকো চক্র দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভাড়া আদায় করছে। তারা গত কয়েক বছরে অর্ধকোটি টাকার মতো ভাড়া বাণিজ্য করেছে। স্থানীয় টুলটিকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আলী হোসেন বলেন, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের ভূমিতে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা বালুচরবাসীর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা অপসারণ না করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানান, কয়েকদিন আগেও গ্যাসের মালিকানাধীন ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকার একটি প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহের জন্য অবৈধ দখলদারদের নিজ দায়িত্বে দখল ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। অনেকের অবৈধ দখল ছাড়ছেন না। যারা নোটিশ পাওয়ার পরও অবৈধ দখল ছাড়ছেন না, তাদের উচ্ছেদের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।