নিউজ ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ জোর করে সরকারে থাকার দল নয়। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনগণের চাহিদার বাইরে ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে আমাদের নেই। জনগণের ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ সরকারে আছে এবং দেশ পরিচালনা করছে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার পর তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মির্জা ফখরুল আবোল-তাবোল বকছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের লোক যে সাজা পেলো তার প্রশংসা করছেন না। বিএনপি আমলে একটি অপকর্মেরও সাজা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তারা একটি অপকর্মেরও শাস্তি দিতে পারেননি। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলমান শুদ্ধি অভিযানকে যদি বিএনপি স্বাগত জানাতো তাহলে বুঝতাম তাদের ইতিবাচক রাজনীতির প্রতি আস্থা আছে। সব কিছু নেতিবাচক চোখে দেখা বিএনপির চরিত্র, বিএনপি সরকারের সমালোচনা ছাড়া আর কিছুই দেখে না। শুদ্ধি অভিযান কে, কীভাবে নিচ্ছেন, কার স্বার্থে আঘাত লাগছে জানি না, তবে দেশে-বিদেশে তা ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে। খারাপ লোকজন দলে দরকার নেই। যারা সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, তাদের দরকার নেই। যারা মাস্তান, তারাই অনুপ্রবেশকারী। যাদের ভোগের ইচ্ছে আছে, তাদের দরকার নেই। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, তা না করলে নিবার্চন এলে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে দেবে। শিশু যেমন মা ছাড়া বাঁচতে পারে না, আওয়ামী লীগ মানুষ ছাড়া বাঁচতে পারবে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এখন বিতর্কিত লোক এনে যদি পকেট ও দল ভারি করেন তাহলে দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও দলে লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি অনুরোধ করবো বিতর্কিত লোকদের নিয়ে দল করবেন না। আমাদের জাতীয় কাউন্সিল আসছে। আওয়ামী লীগ নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে সুশৃঙ্খল সু-সংগঠিত দল। আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই কিছু নতুন মুখ আসবে। পুরনোদের কারও কারও দায়িত্বে পরিবর্তন হবে। এখানে বয়স অনুযায়ী যে যেমন কাজ করতে সমর্থ সেভাবেই সাজানো হয়। এখানে অভিজ্ঞতা ও শক্তি দুটোরই দরকার রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শিডিউল অনুযায়ী দলের সম্মেলন চূড়ান্ত করা হবে। এবারের নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ, প্রতিপক্ষ আটঘাট বেঁধে নামবে। খেয়াল রাখবেন বিদ্রোহী প্রার্থী যেন না থাকে। কেননা, নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করলে সুযোগ নেবে প্রতিপক্ষ।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।