বাংলাদেশের খেলা আমুদি মানুষরা ক্রিকেটকে প্রায় ভুলতেই বসেছেন। আর ভুলবেন নাই বা কেন? এদিকে যে কোপা আমেরিকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচ অপেক্ষা করছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল পরস্পর মুখোমুখি। কোপার ফাইনালকে ঘিরে বাংলাদেশ যেন সম্পূর্ণ দুই ভাগ হয়ে গেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তো রীতিমতো যুদ্ধই বেঁধে গেল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সাইলেন্ট কিলারের সাইলেন্ট ঘোষণায় ভুলে গেলেন সব দ্বিধাবিভক্তি। কেউ কেউ অভিনন্দন জানাতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। আবার কেউ অভিমান করে ‘লাল বলের’ খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে না রাখার অনুরোধও করেন।
‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল’ একমাত্র টেস্ট খেলছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দলের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার এর ব্যাটসম্যানরা জিম্বাবুয়ের বোলারদের কারিশমায় কাছে যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পরলেন। ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন স্কোর বোর্ড যোগ করলেন মাত্র ১৩২ রান, তখন মাঠে নামেন প্রায় ১৭ মাস ‘লাল বলে’ অবহেলিত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লিটন দাসকে সাথে নিয়ে সপ্তম উইকেটে জুটিতে করেন ১৩৮ রান। এরপর তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে করেন ১৯১ রানের জুটি। ব্যক্তিগতভাবে দলকে উপহার দেন ১৫০ রানের এক ঝকঝকে অনবদ্য ইনিংস। বিনিময়ে দল পায় ২২০ রানের এক মহাবিজয়। ১৫০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস একদিকে যেমন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছে অন্যদিকে তার প্রতি অবহেলার মোক্ষম জবাবও দিয়েছে। তিনিতো বলেই দিয়েছেন, আমি যে টেস্ট খেলতে পারি এটাই হলো তার জবাব।
লেখা : হাসান মুবাশ্বির