ক্রিকেটাররা তাদের গার্লফ্রেন্ড বা সাবেক বান্ধবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে জড়ানো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি সাধারণ দৃশ্য। বিশ্বজুড়ে এমনো ক্রিকেটার রয়েছে যারা বিতর্কিত বিয়ে এবং সম্পর্কে জড়ান এবং এ সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। ভারতের মারকুটে ওপেনার মুরালি বিজয়ের নিকিতা ভঞ্জরার সাথে বিয়ে এবং সম্পর্ক কীভাবে কুৎসিত মোড় নিতে পারে তার একটি নিখুঁত উদাহরণ। বিজয়ের সাথে দ্বিতীয়বারের মতো গাঁটছড়া বাঁধার আগে নিকিতা ভারতের ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকের সাথে বিয়ে করেছে। ক্রিকেট বিশ্বে এমন অনেক ঘটনায় ঘটেছে। তবে আজকে আমরা তিনজন খ্যাতিমান ক্রিকেটারকে দেখে নিবো যারা তাদের চাচাত বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এবং পরে সুখে জীবনযাপন করছে।
১. পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও বুমবুম খ্যাত খেলোয়াড় শহীদ আফ্রিদির পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত ঘটনায় ঠাসা। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাইশ গজের ক্রিকেটে দাপটের সাথে চষে বেড়ান। আফ্রিদি তার চাচাতো বোন নাদিয়াকে মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেন এবং ২১বছর দাম্পত্য জীবনে তাদের কোলে পাচঁ মেয়েও রয়েছে। সম্প্রতি তাঁর কন্যা আকসা বর্তমান পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহীন আফ্রিদির সাথে বাগদান সম্পন্ন হওয়ার কথা।
২. পাকিস্তানের আরেক সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ার তার এক দূর সম্পর্কের চাচাতো বোন লুবনাকে বিয়ে করেন। লুবনা পেশায় একজন ডাক্তার এবং তাদের বিসমাহ নামে একটা কন্যা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ২০০১ সালে দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে তিনি মারা যান। ২৫ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে মেয়ের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও দুজনের মধ্যে ভালবাসায় বিন্দুমাত্র চিড় ধরে নি। সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের হয়ে ৮৮২৪ ওয়ানডে রান করেন। ১৯৯৭ সালের ২১ শে মে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সেসময়ে সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়েছিলেন। ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এই ক্রিকেটার।
৩. বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান বোলিং সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান ২০১৯ বিশ্বকাপের পরে তার চাচাতো বোন সামিয়া পারভিনকে বিয়ে করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র। ২০১৩ সালের আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পক্ষ হয়ে অসাধারণ পারম্যান্সের কারণে ফিজ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেরা উদীয়মানের পুরষ্কার পান। মুস্তাফিজ তার অফ-কাটার এবং স্লোয়িংয়ের জন্য বিখ্যাত। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ফিজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পুনরায় শুরু হওয়া ২০২১ সালের মৌসুমের বাকি অংশে আইপিএলে অংশ নেবেন না।