নিজেস্ব প্রতিবেদক
তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী চিন্তাকে উৎসাহিত করতে বিশ্বব্যাপী কাজ করা হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আমিনুল ইসলামকে জাতীয় কো-অর্ডিনেটর এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. আবিদ শাহারিয়াকে জাতীয় কমিউনিটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ম্যানেজার মিস সুপ্রিয়া জাংগ্রে তাদেরকে যথাক্রমে ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ও ন্যাশনাল কমিউনিটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ঘোষণা করেন।
দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ হাল্ট প্রাইজ ইকোসিস্টেমে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী তৃতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। আমি চাই এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের শিক্ষার্থী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও শক্তিশালী স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করতে, যাতে তারা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সমাধান দিতে পারে।”
অন্যদিকে জাতীয় কমিউনিটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়া আবিদ শাহারিয়া বলেন, “UIU থেকে আমার হাল্ট প্রাইজ যাত্রা শুরু হয়েছিল। ক্যাম্পাস পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর এবার জাতীয় কমিউনিটি কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব নিতে পেরে গর্বিত। আমি চাই বিদ্যমান ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আরও নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাল্ট প্রাইজের কার্যক্রম পৌঁছে দিতে এবং তরুণদের সামাজিক উদ্যোগে যুক্ত করতে।”
তাদের বিশ্বাস, এই নেতৃত্বের মাধ্যমে হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে এবং দেশের তরুণরা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে নতুন অনুপ্রেরণা পাবে।
হাল্ট প্রাইজ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আমিনুল ইসলাম ও আবিদ শাহারিয়ার নেতৃত্বে হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ আরও সুসংগঠিত হবে এবং দেশের তরুণরা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে নতুন অনুপ্রেরণা পাবে।
উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ছাত্র উদ্যোক্তাদের সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে পৃথিবীর বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্বুদ্ধ করছে। এ পর্যন্ত ১২০টিরও বেশি দেশে ১০ লাখের বেশি তরুণ এতে যুক্ত হয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ ছাত্রছাত্রী হাল্ট প্রাইজের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সামাজিক স্টার্টআপ তৈরি করে, যার অনেকগুলো ইতোমধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (UN SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চ প্রভাবশালী ব্যবসায় রূপ নিয়েছে।
প্রতিযোগিতাটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়— ক্যাম্পাস প্রোগ্রাম ও ওপেন অ্যাপ্লিকেশন (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি), জাতীয় প্রতিযোগিতা (মার্চ–মে), ডিজিটাল ইনকিউবেটর (জুন–জুলাই), গ্লোবাল অ্যাক্সিলারেটর (আগস্ট) এবং গ্লোবাল ফাইনালস (সেপ্টেম্বর)।