বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ঘুমন্ত অবস্থায় এক আবাসিক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) নিয়ে যান তার সহপাঠীরা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার জোনের এডিসি মো. একরামুল হক।
নিহত হওয়া শিক্ষার্থীর নাম ফুয়াদ আল খতিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার বাসা গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর রুমে থাকতেন। এসময় তার মাস্টার্সের পরীক্ষা চলছিলো।
ফুয়াদের পাশের রুমমেট তার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, গতকাল (০৯ ডিসেম্বর) রাতে আমার বন্ধু বাড়ি থেকে আসছে। কাল রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। সিঙ্গেল রুম হওয়ায় এবং রাতে জার্নি করায় সকালে তাকে কেউ ডাকতে যায়নি। সারাদিন চলে যাওয়ায় আমিও আমার বন্ধু সাব্বির রুমে গিয়ে দেখি সে শুয়ে আছে। নাড়া দিতেই তার মুখ দিয়ে লালা পড়ছিলো এবং পুরো শরীর কালো হয়ে গেছিলো। পরে আমরা তাকে রামেকে নিয়ে আসি এবং এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে তাকে এক নজর দেখতে রামেকে পাড়ি জমায় তার সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা। এসময় তার আপন ভাই ও সহপাঠীদের কান্নায় ভারি হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার জোনের এডিসি একরামুল বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা রামেকে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানায় তার মৃত্যু কয়েকঘন্টা আগে হয়েছে। আমরা এখন পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছি। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস বলেন, আমার খুব প্রিয় ছাত্র ছিলো ফুয়াদ। সে খুব মেধাবী একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করেই বিসিএস ক্যাডার হবে এমন প্রত্যাশা ছিলো তার। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এডি পরীক্ষা দিয়ে আসছে ফুয়াদ। তাকে হারিয়ে আমিসহ আমাদের বিভাগ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। সে সুইসাইড করার মতো ছেলে না।পোস্টমর্টেম রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা মৃত্যুর আসল কারণ জানতে চাই।