আল মাহমুদ বিজয়,(রাবি প্রতিনিধি):
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননাস্মারক প্রদান করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতন-উল-ইসলাম।
৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধা সাতটায় ড. কুদরতে খুদা একাডেমিক ভবনে এই বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. ইউনুস আহমেদ খানের সঞ্চালনায় বিদায়ী শিক্ষার্থী মো. আরাফাত বলেন, আমার কাছে মনে হয় এই বিভাগ একটি পরিবার এবং এই বিভাগ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। প্রথম দিকে ক্লাস করার সময় সানজিদ স্যারকে ভয় পেতাম কিন্তু দুই মাসের ব্যাবধানে তিনিও যখন আমাকে বাবা বলে ডাক দিয়েছেন তখন চিন্তা করলাম সত্যিই শিক্ষকরা খুবই আপনজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, একটি পরিবারে ২ জন ছেলেমেয়ে থাকলে একজন মনে করেন বাবা মা হয়তো অন্যজনকে বেশি ভালোবাসে ঠিক তেমনি আমাদের শিক্ষার্থীরাও হয়তো ভাবছো আমরা একজনকে অন্যজন থেকে বেশি ভালোবাসি। কিন্তু এটা তোমাদের একটি ভুল ধারনা। আমরা সকল শিক্ষার্থীদের সমান চোখে দেখেছি এবং সবসময় আমরা তোমাদের জন্য মঙ্গল কামনা করছি। তোমরা হয়তো কোন শিক্ষককে ভয় করেছো এবং তার কাছে যাওনি। কিন্তু তোমরা যদি ভয় না করে কাছে যেতে তাহলে বুঝতে পারতে ঔ শিক্ষক তোমাকে কতটা ভালোবাসে।
তিনি আরো বলেন, তোমরা এরপর হয়তো কর্মসংস্থানে যোগ দিবে, আমি আশা করি তোমরা যেখানেই যাও না কেন তোমরা তোমাদের যোগ্যতা দিয়ে আমাদের বিভাগকে উচু করে তুলবে। আমাদের কোন সাহায্য প্রয়োজন মনে হলে যেকোনো সময় মনে কোন সংশয় না রেখে আমাদের জানাবে।
তোমাদের জন্য পরামর্শ হলো তোমরা যেখানেই কর্মসংস্থানে যোগ হও না কেন তোমাদের ব্যবহার দ্বারা যেন মানুষ বলতে পারে তুমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সোহেল কবির স্যার বলেন, তোমরা আজকে এই বিভাগ থেকে চলে গেলেও যদি কখনো কোন শিক্ষককে প্রয়োজন হয় তোমরা নির্ধিদ্বায় সেই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করবে। দীর্ঘদিন তোমাদের ক্লাস নেওয়ার সময় হয়তো কোন রাগ করেছি। আসলে বাবা সেটা কোন রাগ নয় এবং তোমরা সেগুলো মনে রাখবে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তোমরা কখনও এটা মনে নিবে না তোমরা এই কাজটা পারবে না। তোমরা অবশ্যই পারবে শুধু তোমাদের লেগে থাকতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল জলিল সাগর, আওলাদ হোসেন, রিফাত হোসেন।