ঢাকাশনিবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

রাবিতে ফুড কোর্ট দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
২ মার্চ ২০২৪, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আল মাহমুদ বিজয়, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদ শাহরিয়ার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পড়ালেখা করেছেন ঢাকা কলেজে, এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন রাবিতে।

ভর্তির আগে থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। সেই স্পৃহা থেকে নিজের প্রচেষ্টায় চার বন্ধু মিলে রাবিতে গড়ে তুলেছেন ফুড কোর্ট ‘রেট্রো কিচেন’। তাদের দোকানে প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা খেতে আসেন। খাবারের মানও ভালো।

রেট্রো কিচেনে বিভিন্ন রকমের আইটেম যেমন; ডিম খিচুড়ি, মুরগী খিচুড়ি, ডিম পোলাও, পোলাও অ্যান্ড মুরগী কারি, মুরগী বিরিয়ানি ও ভাত পাওয়া যায়।

উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অঞ্জিলা বলেন, এখানে খাবারের স্বাদটা তুলনামূলক আমার কাছে ভালো লাগছে। এছাড়া কোয়ালিটিও ভালো। তাছাড়া এখানে মোটামুটি কমদামে পোলাও, খিচুড়ি ও বিরিয়ানি পাওয়া যায়। যেটা ক্যাম্পাসে সচারাচর পাওয়া যায় না। তবে পরিমাণটা একটু বেশি হলে ভালো হয়।

তাদের এই উদ্যোগটাকে কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি এমন কাজ করা অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। আমি আশা করি তারা ভালো কিছু করবে।

রেট্রো কিচেনে খাবারের স্বাদ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি এখানে প্রতিনিয়ত খাবার খাই। আমার কাছে মনে হলো ক্যাম্পাসে যতগুলো খাবারের হোটেল আছে সবথেকে এটাই বেস্ট।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদুর রহমান ফাহিম বলেন, এখানে আজকে আমি প্রথম আসলাম। ক্যাম্পাসের অন্যান্য বিভিন্ন হোটেলের খাবারের থেকে এটার মান উন্নত। টাকা অনুযায়ী খাবারের কোয়ালিটি ভালো ছিল। খাবারে একটা বাড়ির অনুভূতি ছিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। অনেক সময় দেখা যায় যে প্রথমে ভালো সার্ভিস দেয় কিন্তু পরে আবার খারাপ হয়ে যায়। আশা করি তারা যদি খাবারের মানটা বজায় রাখতে পারে তারা ভালো কিছু করবে।

শাহরিয়ার ও তার বন্ধুদের মাথায় এমন পদক্ষেপ কীভাবে আসে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই আমি এবং আমার বন্ধু রাফির মাথায় ঘুরপাক খেতো কিছু একটা করার। আর শুরু থেকেই আমার খাবার নিয়ে আগ্রহটা বেশি ছিল। করোনার আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা আসায় পিছিয়ে যায় কার্যক্রম। এরপর ক্যাম্পাস খুললে আমরা চার বন্ধু আমি, নাফিস আর রাফি, জাহিদ হাসান জীবন ও সৈয়দ তাহমিদ শুরু করি রেট্রো কিচেন। প্রথমে আমরা স্টুডেন্ট মিল সার্ভিস হোম ডেলিভারি দিয়ে শুরু করি। এরপর ক্যাম্পাসে ক্যান্টিন আকারে শুরু করি। সাপ্তাহে পাঁচদিন সিরাজী ভবনের সামনে লান্সের সময় আমরা থাকি। আমরা স্টুডেন্টদের থেকে ভালো সাড়া পাই, এর কারণ আমরা সবসময় স্বল্প দামে ভালো খাবার দিতে চাই।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সানজিদ শাহরিয়ার বলেন, এই দুই বছরে আমরা ব্যপক সাড়া পেয়েছি, আমাদের পরিকল্পনা আছে আমরা শহরে একটি রেস্টুরেন্ট করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কাজলা তালাইমারিতে আমরা পজিশন খুঁজছি। সেখানে আমরা রেস্টুরেন্ট করে রেট্রো কিচেনের পরিসর বৃদ্ধি করতে চাই।

267 Views

আরও পড়ুন

শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা কমিটির মতবিনিময়

ফটিকছড়িতে ছাত্র অধিকার পরিষদের আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের বের করে ছাত্রদলের জবির হল দখল

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরি আলোচনা সভা সম্পন্ন

শান্তিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ

শান্তিগঞ্জে ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীনকে সংবর্ধনা প্রদান 

জামালপুরে আওয়ামী নেতা বাবুল ক্ষমতাকে পুঁজি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন

ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী ধর্মমন্ত্রী হয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক, রয়েছেন আত্মগোপনে 

সরকার পতনের এক মাসপূর্তিতে শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদী মার্চ অনুষ্ঠিত

শেরপুরে সরকারি আবাসনে বসবাসকারী হিজড়াদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন