সু্বর্ণ আসসাইফ:
২০২০ সালে বছরব্যাপী ‘ডিজিটাল পর্যটন’ উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে টেকগনাইজ সল্যুশন লিমিটেড এবং রান বাংলাদেশ যৌথভাবে এ উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এ উপলক্ষে সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কক্সকবাজার জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন ডিজিটাল-ট্যুরিজম বাস্তবায়ন ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য অনুমতি দিয়েছেন (স্মারক নম্বর- ০৫.২০.২২০০.১১১.০২.০০৪.১৭-১৪৪)।
এই উদ্যোগের সাথে জড়িতরা বলছেন,অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এ শিল্পে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপি খাতে পর্যটন শিল্পের অবদান ছিল ৮৫০.৭ বিলিয়ন টাকা। এ খাতে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ২৪ লাখ ৩২ হাজার। একই বছর পর্যটন খাতে বিনিয়োগ এসেছে ৪৩ বিলিয়ন টাকা।এছাড়া সঠিক তথ্য-উপাত্ত না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয়, গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। মূলত বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ডিজিটালাইজ ও আরো গতিশিল এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
টেকগনাইজ সল্যুশন লিমিটেডের পরিচালক আসসাফফাত সুহৃদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে পর্যটন সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল পর্যটন খাতে তরুণদের নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং সহজেই ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে ডিজিটাল পর্যটন সেবা এজন্য আমরা এর নাম দিয়েছি ‘ডিজিটাল পর্যটন’ উৎসব।
রান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান রানা বলেন, পর্যটন সেবাকে অনলাইনে আরও সহজলভ্য করতে কাজ করছে ‘রান বাংলাদেশ’। অল্প সময়ে কম খরচে জনগণের কাছে পর্যটন সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা নতুন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।