আমজাদ হোসেন,
ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়া স্কুল শিক্ষিকা নওশীন দিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা
সহপাঠীর বোনের এমন মৃত্যুতে বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, পৌর শহরের মুন্সেফপাড়া ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহাম্মদ দিয়া খ্রীষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ ডিউক চৌধুরী, ডাঃ অরুনেশ্বর পাল অভি ও ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন রাসেলের ভুল চিকিৎসায় গত ৪ নভেম্বর মারা যায় স্কুল শিক্ষিকা।
মানবন্ধনে রোকেয়া হলের ভিপি ঢাবি শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান তন্নী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা আজ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। রোগীদের প্রতি চিকিৎসকের দায়বদ্ধতা থাকেনা। অবহেলায় অযত্নে মারা যায় রোগীরা। তারই সাক্ষী আমাদের বোন দিয়া। জড়িত চিকিৎসকদের এমনভাবে শাস্তি দেওয়া হোক যাতে আর কোন চিকিৎসক এই ভুল করার সাহস না পায়।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুল আরেফিন সেজান বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর
শিক্ষকদেরও যদি ভুল চিকিৎসায় মারা যেতে হয় তাহলে আমাদের ভাবতে হবে আমরা কোথায় আছি! তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না হলে এমন ঘটনা অহরহ ঘটবে।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, আজকে আমাদের বোনকে ভুল চিকিৎসার কারণে এইভাবে মারা যেতে হয়েছে। মাত্র ছয় দিনের একজন নবজাতক এবং ৬ বছরের একজন শিশুকে রেখে মারা যান আমাদের বোন। এখন শিশুদের অবস্থা কেমন হবে আপনারা বলেন। এমন দায়বদ্ধহীন চিকিৎসক এবং হাসপাতাল চালু থাকলে ভবিষ্যতে আরও এমন মৃত্যুর যন্ত্রণার সমক্ষিণ হতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে চিকিৎসক সমাজকে একটি বার্তা দেওয়া উচিত।
মানবন্ধনে, নিহত শিক্ষিকার বোন, ফুফু এবং শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত চিকিৎসকদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তি এবং খ্রীষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেন।