সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজির আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে কর্ম বিরতি পালন করেছেন সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) পাঠদান কার্যক্রম বিরত রেখেছেন তারা। এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্ম বিরতির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক হাজার ছয়শত শিক্ষার্থী।
সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগে জানা যায়, অধ্যক্ষ নজির আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকাশনার গচ্ছিত ৮০ হাজার টাকা নিজ পকেটে রেখেছেন। সকল শিক্ষকের মাঝে বন্টন করার কথা থাকলেও তিনি টালবাহনা শুরু করেছেন।এইচএসসি পরীক্ষা /২০২২ এর হল পর্যবেক্ষকগণের সন্মানি প্রদান না করা।বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদানে বৈষম্য অর্থাৎ কাউকে ৩% আবার কাউকে ১.৫% প্রদান করা।প্রায় গত ৫ বছর যাবৎ প্রাতিষ্ঠানিক প্রবৃদ্ধি প্রদান করা হয়নি।আভ্যন্তরীন পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও পরীক্ষার পর্যবেক্ষক সম্মানী নামমাত্র প্রদান, কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্তিত না থাকায় সঠিক সময়ে বেতন বোনাসের বিল ব্যাংকে জমা না দিয়ে বেতন বোনাস পেতে বিলম্ব করে বিপাকে ফেলেন সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষক কর্মচারীকে। অভিযোগ রয়েছে,অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্কুল অ্যান্ড কলেজকে অনিয়মের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এসবের প্রতিবাদ করলে তিনি অন্যায়ভাবে শিক্ষদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে হয়রানী করে থাকেন। এইসব অভিযোগ এনে কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা।
সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, অধ্যক্ষের কারণে শিক্ষক কর্মচারীরা কর্ম বিরতি পালন করছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম বিঘ্ন ঘটছে। শিগগিরই বিষয়টি সমাধান না হলে আরো কঠোর কর্মসুচী পালন করা হবে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নজির আহমেদের মোবাইলে কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।