-মোসাঃ তানজিলা,ঢাকা
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।
খসড়ায় দেখা গেছে, এই অধ্যাদেশের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’।
মঙ্গলবার(২৩ সেপ্টেম্বর) নানামুখী তুমুল বিতর্কের মধ্যেই এই অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়েছে, যেহেতু উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সহিত সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা, পঠন-পাঠনের সুযোগ সম্প্রসারণ ও ঢাকা মহানগরের সরকারি সাতটি কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নতিকরণ প্রয়োজন। সাতটি কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি পৃথকীকরণ করে ঢাকা জেলায় ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় এবং যেহেতু সংসদ অধিবেশনে নেই এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি রয়েছে। সেহেতু বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩(১) এ ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করলেন।
এই অধ্যাদেশ ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে অভিহিত হবে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সর্ম্পকে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অবকাঠামো ও ক্যাম্পাস স্থায়ীভাবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থাৎ দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যদের সমন্বয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ধারাবাহিকতা, মনোগ্রাম ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে এর স্থাবর ও অস্থাবর সব প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকবে।
এছাড়া ২৯ পৃষ্ঠার এই খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর এবং পরিচালনার বিষয়াবলি বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এতে।