নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের টানে টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়িতে হানা ঢাবির একদল শিক্ষার্থীর।সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন শিক্ষকও।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বর থেকে ৫ টি বাসে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্য যাত্রা করেন।
দুপুর ১২টায় মহেড়া জমিদার বাড়িতে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ফুলে-ফলে, পত্র-পল্লবে শোভিত হয়ে উঠা কালের সাক্ষী এ দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়ি ঘুরে দেখা শুরু করেন।
জানা যায়,মহেড়া জমিদার বাড়িটি মূলত চারটি ভবনে বেষ্টিত। মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ ও কালীচরণ লজ। এছাড়া জমিদারবাড়ির সামনে রয়েছে ‘বিশাখা সাগর’ এবং ভবনের পিছনে রয়েছে ‘পাসরা পুকুর’ ও ‘রাণী পুকুর’। এছাড়া কালীচরণ লজের সামনে এক তলা ভবনটিকে বর্তমানে মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে মোগল আমলের পুলিশ কর্মকর্তা থেকে বর্তমান সময়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতীকী ভাস্কর্য এবং জমিদারদের তৈজসপত্র রাখা হয়েছে।
বনভোজন উপলক্ষ্যে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়।শিক্ষার্থীদের জন্য ফুটবল, ক্রিকেট এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মহেড়া জমিদারবাড়ির অডিটোরিয়ামে পিলো খেলার আয়োজন করা হয়।এছাড়া জমিদারবাড়ির উত্তরদিকে ডিসি ব্যারাক মাঠে হাড়িভাঙ্গাসহ আরো বিভিন্ন খেলায় মজেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার দিকে র্যাফেল ড্র এবং পুরষ্কার বিতরণি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ভ্রমণের সকল আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বলেন,” মহেড়া জমিদারবাড়ি বিস্তৃত এলাকা নিয়ে অবস্থিত চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান। যার একটি ঐতিহ্য আছে। আসলে মানুষকে দুই ভাবে শিখতে হয়। দেখে এবং ঠেকে। দেখে শেখার যে অংশবিশেষ তা আমরা এই বনভোজনের মাধ্যমে আয়োজন করেছি।”
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে এই জমিদার বাড়িটিকে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং বর্তমানে এটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।