আমজাদ হোসেন, ঢাবি:
আবরারের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা এবং দায় অস্বীকার করার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন এবং বর্জন ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) এস.এম হল পাঠকক্ষ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন দেওয়া হয় এবং আগামীকাল (৪ নভেম্বর) থেকে হলে প্রথম আলো পত্রিকা বর্জন ঘোষণা করা হয়েছে।
হল পাঠকক্ষ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী (সাগর) বলেন, “হল ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে এবং সংসদের পাঠকক্ষ সম্পাদক হিসেবে বলছি, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের দোহাই দিয়ে যারা পাবলিক সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলে, যারা মানুষ হত্যাকেও নাচ-গানের মধ্য দিয়ে উপভোগ করে তাদের নিজ জায়গা থেকে প্রতিরোধ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আনুষ্টানিকভাবে এই হত্যার সম্পুর্ণ দায়ভার প্রথম আলো না নেওয়া পর্যন্ত সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের পত্রিকা রুমে প্রথম আলো পত্রিকা বর্জন ঘোষণা করলাম।
এই ব্যাপারে হল সংসদের জি.এস জুলিয়াস সিজার তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রথম আলো দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা সত্ত্বেও তারা দায়িত্বশীল আচরণ করে নাই এবং কি তারা দায়বারও স্বীকার করে নাই তাই এস.এম হলে প্রথম আলো বর্জনের সিদ্ধান্তে আমি পাঠকক্ষ সম্পাদকের সাথে একমত।
আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কালক্ষেপণ করে পাশে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীতে ইউনিভার্সাল হাসপাতালে নেয়। সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে কিছুক্ষণ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ছেলের লাশ ময়নাতদন্ত না করে আমাকে দিয়ে দেয়। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ কত যে ভারী, তা একমাত্র আমিই বলতি পারি। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসে বিদ্যুস্পর্শে নিহত হয়েছেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার।