ঢাবি প্রতিনিধি:
ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও ব্যাবহারিকভাবে সবার কাছে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে চারুকলায় শুরু হয়েছে ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগ এর আয়োজন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারটায় চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্লারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ উক্ত প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান মুকুল কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শিশির কুমার ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য প্রাক্তনি সংঘ ডুসকার সভাপতি ভাস্কর মুজিবুর রহমান ও প্রদর্শনীর আহ্বায়ক অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম।
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান মুকুল কুমার বলেন, বরাবরের মত এবারের প্রদর্শনীও দর্শকবৃন্দ উপভোগ করবেন। শিক্ষার্থীদের চলমান অনুশীলন-নিরীক্ষা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং তাদের নান্দনিক তৎপরতার সমালোচনামূলক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এবং বিভাগের অগ্রগতিতে রাখবেন বলে প্রত্যাশা করি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রো-ভিসি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ভাস্কর্য শিল্প আজকের অবস্থানে এসেছে। উগ্র মানসিকতার মানুষেরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দীর্ঘদিন এই প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছিল। পর্যটন শিল্পে ভাস্কর্যের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ বলেন, শিল্পকর্ম ও সৃজনশীলতার নিজস্ব একটি শক্তি আছে।
প্রদর্শনী উপলক্ষে শিল্পকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভাগের ৫জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার পেয়েছেন নয়ন দত্ত, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন গোবিন্দ পাল, মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার পেয়েছেন অচিন্ত্য সাহা রায়, ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরুস্কার পেয়েছেন সুস্মিতা মুখার্জী, শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরুস্কার পেয়েছেন টুটুল রায়।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীটি চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।