জবি প্রতিনিধি :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ৭ম তলার(ছাদে) আনন্দঘন পরিবেশে এই শিক্ষা সমাপনী উৎসব উদযাপন করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন বিভাগের শিক্ষা সমাপনী উৎসব সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে হয়ে থাকে সেখানে নাট্যকলা বিভাগ সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম ভাবে নিজস্ব সৃজনশীলতায় পুরো বিভাগ সাজিয়ে বিভাগের ৭ম তলার (ছাদে) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় , এবং ৬ষ্ট তলার প্রাকটিক্যাল রুমে প্রথম আবর্তনের স্মৃতি দিয়ে সাজানো হয় এবং অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রথম আবর্তনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান এ সময় তিনি বলেন, তোমরা যারা বিদায় নিলে তারা যেখানেই থাকো, এই বিশ্ববিদ্যালয়কেই উপস্থাপন করবে। সকলের উদ্দেশ্যে তিনি একটি সুখবরের বার্তা দিলেন আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার নতুন ক্যাম্পাসের জমি ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বুঝে নেয়ার কথা বলছে যে ক্যাম্পাসে মূল ফটকের কাছেই থাকবে নাট্যকলা বিভাগ
তিনি আরো বলেন নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন আমার অনেক কাছের মানুষ, নাটক ও নাট্য চর্চা নিয়ে বলেন, নাটক কিংবা নাট্য চর্চা করতে হয় প্রাকৃতিক পরিবেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়েকটি বিভাগ ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে তার মধ্যে নাট্যকলা অন্যতম। একটি দেশের সাংস্কৃতিক মেধা মননের পরিচয় পাওয়া যায় নাট্য ও সঙ্গীত চর্চার মাধ্যমে। তবে আধুনিকতার সাথে মিল রেখে নাট্য চর্চার ধারা পরিবর্তিত হয়েছে। এসময় তিনি আগামী সমাবর্তনে নাট্যকলা বিভাগের ২ টি প্রযোজনা রাখার জন্য অডিটোরিয়াম বরাদ্ধ দেন।
নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মোঃ কামালউদ্দিন খানের সভাপতিত্বের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান, এসময় নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামস শাহরিয়ার কবি, প্রভাষক ক্যাথরিন পিউরিফিকেশন, প্রভাষক সঞ্জীব কুমার দে, প্রভাষক রুবাইয়া জাবীন প্রিয়তা, প্রভাষক আফরিন হুদা, প্রভাষক কৃপাকনা তালুকদার এবং নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
আয়োজনের শেষ অংশে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে একটি মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল।