জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবিরকে প্রকাশ্যে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে সাইদুর ইসলাম সাঈদ এক শিক্ষার্থী। হুমকির প্রতিবাদে আইনি ব্যবস্থা ও প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন জবি শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) জবি শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ করেন৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.ই.আর. এর শিক্ষার্থী ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাইদ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবিরকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অত্যন্ত মর্মাহত ও ব্যথিত। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনার জড়িত সাইদুল ইসলাম সাইদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সমিতি জোর দাবী জানাচ্ছে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটিতে ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট থেকে ২ জন করে ভোটার নির্বাচিত হন। যাদের ভোটে পরবর্তীতে ডিবেটিং সোসাইটির কমিটি গঠন করা হয়। সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সাইদ তার পছন্দের ২ জনকে ভোটার করার জন্য অধ্যাপক শাহ নিস্তারকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যাপক নিস্তার বলেন, প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। তারা বাছাই করে তা নির্ধারণ করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. শাহ্ নিস্তার জাহান কবীর বলেন, সাইদ তার পছন্দের লোককে অবৈধভাবে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি তার অন্যায় দাবি মেনে নেই নি। পরবর্তীতে তিনি আমাকে প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুর ইসলাম সাঈদ বলেন, শিক্ষকরা আমাদের পিতৃতুল্য। আমি স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তিনি অভিযোগ তুলে নেয়ার ব্যাপারে ভেবে দেখবেন বলেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, রেজিস্ট্রার স্যার অসুস্থ, তিনি আসলে চিঠি ইস্যু করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ঘটনার অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত কমিটি করে যথাযথ পদক্ষেপ নিব।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইতে সাইদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। এতে একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে বিচার দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ছাড়া চলতি বছরের ৪ মার্চে সাইদের হাতে মারধরের শিকার হন ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাসান হৃদয়। হৃদয়কে তিনি ৫ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার হুমকি দেন।