প্রতিবেদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
পুরানো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ বঙ্গাব্দ বরণ করে নিতে বাঙালী ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন ‘রায়বেঁশে বা লাঠিখেলা’ নাটকটি মঞ্চায়িত হয়েছে।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় শুক্রবার নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে চেয়ারম্যান কৃপাকনা তালুকদারের পরিকল্পনায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে এ নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে আনন্দে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে নাটকটি উপভোগ করেন।
নাটকটি নিয়ে নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান কৃপাকনা তালুকদার জানান, রায়বেঁশে বা লাঠিখেলা হাজার বছরের বাঙ্গালী ঐতিহ্যের এক অন্যতম নিদর্শন। যুদ্ধ নৃত্য হলেও আমাদের দেশীয় আচার উপাচার মিশ্রিত এই পরিবেশনাটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ। যা পরিবেশিত হয়ে আসছে বিভিন্ন দেশীয় পার্বণে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যক্রমে দেশজ নাট্যের নৃত্য অংশে এই রায়বেঁশে পরিবেশনার মাধ্যমে তা উপস্থাপিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি চাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নাই। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ আসলে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
নাটকটি পরিবেশনায় ছিলেন; রকি, মারুফ, অনন্যা, নিশা, রুদ্র, বাবলু আলম, সৌমিক, ঈশিতা, খুশি, নওমী, সাদিয়া, মুগ্ধ, তাকরিম, মোস্তাকিন, শোভন, সুরাজ, মুস্তাফিজ, অভিজিৎ এবং ফিজা। নাটকে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
পুরো নাটক ও পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন কৃপাকনা তালুকদার। দ্রব্যসামগ্রী নির্মাণে ঈশিতা এবং প্রকাশনা ও পোস্টারিং এ ছিলেন সাদিয়া নিশা। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন শোভন, সুরাজ, তাকরিম, অনন্যা, নিশা, মুস্তাফিজ, অভিজিৎ ও ফিজা।