মোসাঃ তানজিলা, ইডেন প্রতিনিধি :
ঢাকার এতিয্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজের হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ ছাত্রী নিবাসের অফিস সহকারী স্মৃতি ইসলামের সিলগালা করা রুমের মালপত্র বের করার সময় ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতি লাইভে কথা বলার চেষ্টা করলে তাতে বাঁধা দেন(রুম নং ২১৪) ২০১৮-১৯ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের-নয়ন মণি,৪১২ নাম্বার রুমের ফারজানা ও ২১৪-র টুকটুকি।
১ আগস্ট (শুক্রবার) ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটনাটি ঘটে।
ইডেন কলেজ আয়েশা সিদ্দিকা হলের অফিস সহকারী (স্মৃতি ইসলাম)। গত দুই মাস আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই সময় তিনি ছুটিতে ছিলো। এরপর আর তাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। গেইটে তাকে আটকানো হয় এবং তার জিনিসপত্র তার অবর্তমানে সরাতে চাইলে পরে তিনি আপত্তি জানালে তার রুমটি সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। তারপর সকাল ১০ টায় প্রশাসন থেকে ফোন করে দুপুর ১২ টায় তাকে মালামাল নিতে যেতে বলা হয়।
এসময় ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী স্মৃতি ইসলামের সাথে লাইভে কথা বলতে চাইলে বাঁধা দেন নয়ন মণিসহ তিন-চারজন আবাসিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, স্মৃতি ইসলাম সব সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কথা বলতেন এবং হলে সিট বাণিজ্য,শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে নয়ন মনি স্মৃতি ইসলামের বিরুদ্ধে চলে যায়।
শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, নয়ন মণি পূর্বে ছাত্রলীগের সময় নেত্রীদের থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো,ওদের বিভিন্ন মিটিং, সমাবেশে তাকে দেখা যেত। নেত্রীদের প্ররোচনায় হলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতো এবং শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণও করতো।
সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রমে তার বাঁধাদান প্রসঙ্গে সদস্য সচিব তানজিলা আক্তার মাসুমা জানায়, আজকে লাইভে থাকাকালীন নয়ন মনি এসে লাইভটি করতে বাঁধা দেয় এবং লাইভটি ডিলিট করতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
সে কোন যুক্তিতে এরকম আচরণ করছে এমন প্রশ্ন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের?
নয়নমণির কাছে বাঁধাদানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে বাঁধা দিয়েছি এমন নয়, ওদেরকে বলেছি আপনারা হুটহাট লাইভে যেতে পারেন না৷ উনি (স্মৃতি ইসলাম) মিথ্যা বললে সেগুলো লাইভ করলে তো হবে না। একটা প্রিপারেশনের তো ব্যাপার আছে। তাই ঐ সময় ডিলিট করতে বলা হয়েছে।
সেখানে ইডেন কলেজ শৃঙ্খলা কমিটি ,হল ভিজিলেন্স টিম এবং আয়েশা সিদ্দিকা হলের হল সুপার উপস্থিত ছিলেন। তারা সেখানে উপস্থিত থাকার পরও নয়ন মনি সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের প্রতি চড়াও হয় এবং তারা চুপ ছিলেন। এছাড়া সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছাঃ মোস্তারি সালেহীন ঐ সময়ে সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব তানজিলা আক্তার মাসুমার ফোন কেড়ে নেন ও অডিও রেকর্ডটি ডিলিট করতে বাধ্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক মোস্তারী সালেহীন সম্মতি জ্ঞাপন স্বরূপ নিউজ ভিশনকে জানান , অডিও ডিলিট এর ব্যাপারটি ছিলো অন্য কথা নিয়ে। তাই বলা হয়েছে অনুমতি না নিয়ে অডিও রেকর্ড করা তো যাবে না। আরও কিছু জানতে চাইলে ক্যাম্পাসে যেতে বলে কলটি কেটে দেন।
লাইভটি নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা । একজন শিক্ষার্থী কিভাবে এতো ক্ষমতা দেখাতে পারে সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।