সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেকরীর চর গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (১১ মাস) অসুস্থ হলে তাকে উপজেলার মীরগঞ্জ বাজারের শান্তি নিকেতন চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মো: শামছুল আলমের কাছে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে শিশু কবির মিয়ার শরীরে ট্রাইম্যাক্স ইনজেকশন পুশ করে। এতে শিশু কবির মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কবির মিয়াকে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেয়। অভিভাবকরা দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুজ্জামান সরকার জানান, ‘বিধি মোতাবেক একজন পল্লী চিকিৎসক শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্রাইম্যাক্স ইনজেকশন প্রদানের পরামর্শ দিতে পারে না। এমনকি ট্রাইম্যাক্স ইনজেকশন শিশুর শরীরে পুশ করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, পল্লী চিকিৎসক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শতকরা ৯০ ভাগ ভর্তি হওয়া অসুস্থ শিশু রোগি পল্লী চিকিৎসক শামছুল আলমের শান্তি নিকেতন চিকিৎসালয় থেকে ফেরত আসা।
শামছুল আলম নিজেকে সার্টিফিকেট ইন প্যারামেডিকস্ (রাজশাহী), মেডিকেল প্রাকটিশনার, নবজাতক, মা, শিশু ও কিশোর রোগ চিকিৎসক (গভ: রেজিঃ নং-১০৯৪৩০) দাবি করে। তিনি বলেন, ‘শিশু কবির মিয়াকে নিয়ে দুপুরে তার বাবা সাজু মিয়া আমার চিকিৎসালয় আসে। আমি তাকে ট্রাইম্যাক্স ইনজেকশন পুশ করি এবং নেবুলাইজারের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে ওষুধ প্রয়োগ করি। এর কিছুক্ষণ পর আমার চিকিৎসালয় থেকে তারা চলে যায়।
শিশু কবিরের পিতা সাজু মিয়া জানান, ‘ইনজেকশন দেয়ার পরপরই আমার বাচ্চাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত. ঘোষণা করে। এ বিষয় নিয়ে মামলা করবো কি না এখন ভাবিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, মৃত. শিশুসহ তার পিতা আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশরাফুজ্জামান সরকারের কাছ থেকেও মোবাইল-ফোনে বিষয়টি জেনেছি এবং শিশুর পিতাকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।