ঢাকাশনিবার , ৫ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

দুই সন্তানসহ করোনামুক্ত হলেন রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২২ জুন ২০২০, ৬:৪০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

জাহেদুর রহমান সোহাগ; স্টাফ রিপোর্টার:চট্টগ্রাম-

দুই শিশু সন্তানসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান (৩৮)। করোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২৩ দিন লড়াইয়ের পর তিনজনই করোনাভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।বিষয়টি জানিয়ে গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশ করেন ইউএনও। রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের সুস্থ হওয়ার ঘোষণা দেয়। এখন আবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়া অপেক্ষায় আছেন ইউএনও। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়।দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ছিলেন মাসুদুর রহমান। রাঙ্গুনিয়ায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন তিনি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে হাটবাজারে ঘুরেছেন। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন, গণপরিবহন সীমিত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, কর্মহীন মানুষদের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ ও বন্টন করতে গিয়ে তাঁকে নানা ধরনের মানুষের সংস্পর্শ আসতে হয়েছে। আর এ থেকে মাসুদুর ও তাঁর দুই ছেলের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ৩০ মে করোনা পরীক্ষার জন্য মাসুদুর রহমান নমুনা দেন। নমুনা পরীক্ষায় ১ জুন তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর তিনি সরকারি বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তিনি চলেন। এরপর তাঁর দুই বছর ও চার বছর বয়সী দুই ছেলের নমুনা পরীক্ষাতেও করোনা শনাক্ত হয়।
করোনা জয়ের অভিজ্ঞতার বিষয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘পরপর দুবার আমার ও এক ছেলের করোনা পজিটিভ আসায় একটু ঘাবড়ে যাই। তবে মনোবল শক্ত রেখেছি। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেছি। সবার দোয়া ও সহযোগিতায় চিকিৎসকদের নিয়ম মেনে সবকিছু করেছি। ঘরে থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। বেশি করে ভিটামিন সি ও ডি-যুক্ত খাবার খেয়েছি। দৃঢ়তার সঙ্গে এই ভাইরাসকে মোকাবিলা করেছি। করোনার উপসর্গ কমে যাওয়ার পর বাসার একটি কক্ষে বসে কার্যালয়ের কাজ করেছি।’করোনামুক্ত হতে পারায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ ইউএনও। তাঁর মতে, কোভিড-১৯-এর এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃত কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করেই সবাইকে স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে না চললে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কেউ নিরাপদ থাকতে পারবেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন মো. ফোরকান উদ্দিন সিকদার বলেন, ইউএনও এবং তাঁর দুই শিশুপুত্রের শুরু থেকে করোনা উপসর্গ ছিল। উপসর্গ অনুযায়ী তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি ও তাঁর এক সন্তানের পরপর দুবার করোনা পজিটিভ হয়। মনোবল না হারিয়ে তাঁরা চিকিৎসা নেন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

394 Views

আরও পড়ুন

জুলাই-আগস্ট ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির মাস: হোসেন আলী

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মধ্যনগর বি.পি.উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন এর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সেঞ্চুরিয়ান লিও ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

গাইবান্ধায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

কাপাসিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘মনগড়া অপপ্রচার’: শাহপরীর দ্বীপ জেটি ইজারা বিতর্কে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিলেন জামায়াত নেতা ফারুক

চকরিয়ায় দাঁড়িপাল্লার ব্যাপক গণসংযোগ

ইসলামী আদর্শে বলীয়ান যুব শক্তির বিকাশে গাজীপুরে ঐতিহাসিক যুব সম্মেলন

নাসির উদ্দিন সাথীর অপকর্ম এবং মাই টিভি চ্যানেল দখল

তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় ‘জুলাই’ বিরোধী মন্তব্য: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে মারধর, উত্তপ্ত পরিস্থিতি