ঢাকাশুক্রবার , ১১ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি–আমি কি ভুলিতে পারি!

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

মোহাম্মদ মন্‌জুরুল আলম চৌধুরী।

আমরা কি সত্যিকারভাবে আমাদের ভাইয়ের রক্তের আঁখরে লেখা অমর শহীদ দিবসকে মনে রাখতে পেরেছি। ভাষার জন্যে বিশ্বের কোথাও মানুষকে রক্ত দিতে হয়নি। করতে হয়নি আন্দোলন সংগ্রাম। ভাঙতে হয়নি ১৪৪ ধারার গণ জমায়েত। বাঙ্গালীরা বুকের তরতাজা রক্ত দিয়ে মায়ের বুলি মায়ের ভাষাকে রক্ষা করেছে । বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষার মর্যাদা আর সম্মানকে সমুজ্জ্বল করেছে। এখন সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। যে দেশের মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সে দেশে বাংলা ভাষা অনেকভাবে উপেক্ষিত। ভাষাকে বিকৃত করছে। দেশজ কৃষ্টি সভ্যতা ঐতিহ্যকে কুলষিত করছে। ইংরেজি অক্ষর দিয়ে বাংলা ভাষা লিখতে গিয়ে বাংলা ভাষাকে বিজাতীয় ভাষায় রূপান্তরিত করছে। অনেক ক্ষেত্রে তা অশ্লীল পর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে।

দেশের সর্ব স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন এখনো দাবী হয়েই রয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা নিচে বা এককোণে বড় অযত্নে অবহেলায় অপারগতায় সৎ মায়ের ছেলের মতো পড়ে রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাস দিয়ে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। লেখাপড়ায় বাংলার উপরে ইংরেজিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা যা বিশ্বের সব প্রান্তে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সে ভাষা শিক্ষা গ্রহণে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। বরং ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় পেছনে পড়ে থাকলে দেশ ও জাতি বিশ্ব দরবারে পিছিয়ে থাকবে। তাই আগে মাতৃভাষা শিক্ষা চর্চা বিকাশ প্রসার প্রচার ঘটাতে হবে। শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান গবেষণা প্রযুক্তি উদ্ভাবন বুদ্ধিমত্তায় মননশীলতা সৃষ্টিশীলতায় এগিয়ে যেতে হবে মাতৃভাষার মাধ্যমে। বাংলা ভাষাকে অবমূল্যায়ন করে যেখানে ইংরেজিতে কথা বলাকে স্মার্টনেস বলে না এটা হচ্ছে শিক্ষার দেউলিয়াপনা এবং মানবিক অধঃপতন।

একদিনের প্রভাত ফেরি, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শ্রদ্ধা জানানো, শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন মেলা, কপোত কপোতীদের ঘুরাফিরা সবকিছু মিলিয়ে দিনটিকে আমরা যেন নিছক একটি দিবসে পরিণত করে না ফেলি। আমরা যেন আমাদের নাড়ীর টান, মাটির টান, মায়ের টান, শেকড়ের টান ভুলে না যাই। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে উজ্জিবনী শক্তি নিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাভাষাকে সুষ্টু সুন্দর এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। শহীদদের রক্তের প্রতি যথাযথ সম্মান মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না শুধুমাত্র একমাত্র বাঙ্গালীরাই ভাষার মর্যাদার জন্য আত্মত্যাগ করেছে। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে আমাদের অমর শহীদ এবং ভাষা দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করছি। আসুন দেশ জাতি মানুষকে ভালবাসি এবং সম্মান করি। ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

552 Views

আরও পড়ুন

শান্তিগঞ্জে উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়নে সেলাই মেশিন ও পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিতরণ

দাখিল পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান: তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গী শাখার সাফল্য ও হতাশা একসাথে

আজ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল

১৪ জুলাই পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল জনসভা

ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর শাখার নতুন দায়িত্বে যারা

টেকনাফে মিনি ড্রাম-ট্রাকে মিললো৫০হাজার ইয়াবা,আটক-২

মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে বিএনপি নেতা সাথী বহিষ্কার ও গ্রেফতার সমীকরণে : নিরব ক্ষোভে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা

কাপাসিয়ায় খাল বিলে অভিযান চালিয়ে ২৫ টি ম্যাজিক চাই ও জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

মাদারীপুর জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ

কেরোয়ার একমাত্র রাস্তাটি আজ জনভোগান্তির প্রতীক

টেকনাফে বিজিবি অভিযানে৮১হাজার৩৫৫পিস ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ স্ত্রী আটক,স্বামী পলাতক